রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সিবিজি মৎস্য সমবায় সমিতির প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট রতনদিয়া সিবিজি (মৎস্য) সমবায় সমিতির লিমিটেডের সভাপতি ইতি খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলেন, কালুখালী উপজেলার সর্ববৃহৎ মৎস্য সমিতি রতনদিয়া সিবিজি (মৎস্য) সমবায় সমিতি। এ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকার মধ্যে উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক নিজে ২০২১ সালের (২৭ মে) ১ হাজার ৫শ’ টাকা মূল্যের ৩ বস্তা চুন, ৫ হাজার ৪শ’ টাকা মূল্যের ২ বস্তা খৈল, ২ হাজার ৪শ’ টাকা মূল্যের ২ বস্তা টিএসপি, ১ হাজার ৬শ’ টাকা মূল্যের ২ বস্তা ইউরিয়া ও ২০২১ সালের (৩ জুন) ৬ হাজার ৮শ’ টাকা মূল্যের ৮৫ কেজি সিলভার কার্প, ৪০ হাজার ৯শ’ ৫০ টাকা মূল্যের ৩১৫ কেজি রুই-কাতলা, (৩ জুন) ৮ হাজার ৮শ’ টাকা মূল্যের ৮ বস্তা মেগাফিড, (২২ জুন) ৪ হাজার ৪শ’ টাকা মূল্যের ৪ বস্তা মেগা ফিড, (২ আগস্ট) ৮ হাজার টাকা মূল্যের ১০ বস্তা আমান ফিড, (২ সেপ্টেম্বর) ১১ হাজার টাকা মূল্যের ১০ বস্তা মেগাফিড ও ৯ শত টাকা মূল্যের ২৫ কেজি খৈল, ১ হাজার ২শ’ টাকা মূল্যের ১ বস্তা টিএসপি, ৮শ’ টাকা মূল্যের ১ বস্তা ইউরিয়াসহ সর্বমোট ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকার মালামাল প্রদান করেন। বাকি টাকা মালামালের জন্য বলা হলেও কালুখালী উপজেলা মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক দিচ্ছেন না। বারবার চাওয়া হলেও টাকা বা মালামাল দেননি। ২০২২ সালের (২৯ জুলাই) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের দিন মালামালের বিষয়ে হিসাব চাওয়া হলেও উপজেলা মৎস্য অফিসার খারাপ আচরণ করেন এবং পরে দেখা করতে বলেন। পড়ে ৩ বার দেখা করলেও হুমকি দেন।
কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই সমিতির অন্যান্য সদস্যরা সমিতির মাছ বিক্রির টাকার হিসাবের ব্যাপারে আমার নিকট অভিযোগ করেন। আমি হিসাব চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন। তবে সঠিকভাবে উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. সজিব অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply