নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখোমুখি বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস

|

কলকাতা প্রতিনিধি:

ভারতের বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। মুখোমুখি অবস্থানে রাজ্যের বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীনরা বলছে, শিগগিরই পুরো দেশে চালু হবে আইনটি। আর রাজ্যের শাসক দল বলছে, কখনোই তা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

আসছে ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গুজরাট রাজ্য সভার নির্বাচন। তার আগে, রাজ্যটির দু’টি জেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১৯৫৫ সালের ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের অধীনে এ নাগরিকত্ব দেবে জেলা দুটির প্রশাসন।

অনেকেই বলছে, গুজরাটে সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেতেই বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ। যার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যটিতে আলোচনায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ। ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি অঙ্গীকারাবদ্ধ সিএএ বাস্তবায়নে। এটা বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়ন করা যায়নি। কারণ, কোভিড মহামারি ছিল। আড়াইশোর কাছাকাছি মামলা ঝুলে আছে। এগুলোই ছিল বড় কারণ।

বিজেপির বিধায়ক অসীম সরকার বলেন, কোনো রাজ্যের কোনো মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না। তিনি সাংবিধানিক প্রধান। যেহেতু এটা লোকসভায় পাশ হয়েছে, রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে, মাননীয় রাষ্ট্রপ্রতি স্বাক্ষর করেছেন এবং, আইনে পরিণত হয়ে গেছে; কোনো মুখ্যমন্ত্রী যে এতে বাধা দিতে পারে এটা হাস্যকর ছাড়া অন্যকিছু নয়।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, পশ্চিমবঙ্গে কখনোই এ আইন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর বলেন, এটা সম্পূর্ণই ভোটের বিষয়। কারণ, সামনে গুজরাটে ভোট। সিএএ বাস্তবায়ন করলে হিন্দুদের ভোট তারা পাবে। দু’দিন আগেই তারা বললো, কোর্টে মামলা চলাকালে কিছু হবে না। কিন্তু তারা এখনই এটা বাস্তবায়ন করতে চাইছে।

এদিকে, রাজ্যটির সংখ্যালঘু মোটুয়া সম্প্রদায় দ্রুত সিএএ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নের আশ্বাসে মোটুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি সরকার। তবে, ২০২৪ সালের মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ না হলে লোকসভা নির্বাচনে মোটুয়াদের সমর্থন হারাতে পারে বিজেপি।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply