মার্কিন গণতন্ত্র হুমকিতে। সাংবিধানিক কাঠামো রক্ষা এবং উপযুক্ত আইনপ্রণেতা বাছাইয়ের দায়িত্ব ভোটারদের। মধ্যবর্তী নিবার্চনের সবশেষ প্রচারণায় মার্কিনীদের হাতেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভোটারদের বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিন। ১৫ নভেম্বর বড় ঘোষণা আসার চমকও রেখেছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সুতোয় ঝুলছে কংগ্রেসের ওপর ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ। সিনেটে দু’দলের দখলে, সমান সংখ্যক আসন। কেবল- ভাইস প্রেসিডেন্টের এক ভোটের কারণে রক্ষা হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের মুখ। অন্যদিকে, নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদেও মাত্র ৮ আসনের পার্থক্য। সবশেষ জনমত জরিপেও ভাগ্য দোদুল্যমান। ৪৭ শতাংশ মার্কিনী চান ক্ষমতা ফিরুক রিপাবলিকানদের হাতে। আর ৪৮ ভাগ চান উল্টোটা।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই, শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারণা। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবি, বিরোধীদের উস্কানিমূলক বার্তা আর আচরণের কারণে গণতন্ত্র খাদের কিনারায়। সেটি রক্ষার দায়িত্ব মার্কিনীদের।
জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। বাড়ছে রাজনৈতিক সহিংসতা-হুমকি। এ পরিস্থিতিতে, সংবিধান রক্ষা এবং হামলা প্রতিরোধের দায়িত্ব আপনাদের। ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করুন। ব্যালটের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিতে পারে আগামী বছর থেকে আগামী ৩ বছরের দৃশ্যপট। এমনকি, আগামী কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোও ঠিক করে দেবে এ ভোট।
অন্যদিকে, ট্রাম্প চান- যেকোনো মূল্যে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসুক রিপাবলিকানদের হাতে। আর, সেটি নির্ধারিত হবে ভোটদানের মাধ্যমেই।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে চায় রিপাবলিকান পার্টি। আর, ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসে ফেরত যাবো আমরা। আর, ১৫ নভেম্বর বড় একটি ঘোষণা দিতে যাচ্ছি, অপেক্ষা করুন। ডেমোক্র্যাট সরকারের অত্যাচার থেকে রক্ষায় প্রত্যেক মার্কিনির রুখে দাঁড়ানো উচিৎ। নিজ অধিকারের জন্য লড়াই করতে পারলেই, আসবে সার্বিক সাফল্য।
মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ডেমোক্র্যাটদের জন্য বলা হচ্ছে মযার্দা ও জনপ্রিয়তা রক্ষার লড়াই। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে কংগ্রেসে বিল পাসে নানামুখি বাধায় পরবেন ক্ষমতাসীনরা। পার্লামেন্ট স্পিকার পদেও আসবে পরিবর্তন। ন্যান্সি পেলোসির বিকল্প হিসেবে শোনা যাচ্ছে কেভিন ম্যাকার্থির নাম। তাছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও পড়বে প্রভাব।
/এসএইচ
Leave a reply