ভ্যাট আদায়ে এজেন্ট নিয়োগ, শুরু হয়েছে যাচাইবাছাই কার্যক্রম

|

মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আদায়ে জোর দিচ্ছে এনবিআর। ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এজেন্ট। তিন বছরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসবে তিন লাখ ইএফডি। এনবিআর বলছে, ভ্যাটের অংশ পাবে এজেন্ট, তাই আদায়ে বাড়বে আগ্রহ। বিপরীতে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কাজে সরকারের তদারকি থাকা জরুরি।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি সংযোজনের উদ্দেশ্য ছিল ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করা। কিন্তু সফল হয়নি সেই উদ্যোগ। কাঙ্খিত মাত্রায় যন্ত্র স্থাপন করতে পারেনি এনবিআর। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসেছে, সেখান থেকেও পাওয়া যাচ্ছে না তেমন রাজস্ব। এমন অবস্থায় ইএফডি সংযোজনে এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এরইমধ্যে এজেন্ট নিয়োগ এবং কমিশন চূড়ান্ত করা হয়।

ভ্যাট অনলাইনের প্রকল্প পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় এ উদ্যোগটা নেয়া হয়েছে। সেখানে সফলতা আসলে জেলা শহরগুলোতে যেখানে ট্যাক্স গ্যাপ রয়েছে, তা চিহ্নিত করে এই কার্যক্রম চালানো হবে।

ভ্যাট আদায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যন্ত্র বসিয়ে তা তদারকি করবে এজেন্ট কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে দশমিক ৫২ ভাগ হারে দেয়া হবে কমিশন। এক্ষেত্রে সরকারের তদারকি দরকার উল্লেখ করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এদের কার্যক্রম তদারকি করা কিংবা তারা কতটা স্বচ্ছভাবে কাজ করছে তার তদারকি করার একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। আমি মনে করি, এনবিআর সেটা কীভাবে করবে তা নজরদারি মধ্যে নিয়ে আসা প্রয়োজন হবে। আরেকটা বিষয় আছে, এনবিআরের নাম ব্যবহার করে অনেক ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করা হয়, সেটা কীভাবে কমিয়ে আনবে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই যন্ত্র স্থাপন হবে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। এই বিষয়ে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করছে এনবিআর। এই কার্যক্রম সফল হলে পুরো দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থাপন করা হবে ইএফডি। করযোগ্য মানুষদের খুঁজে বের করতেও কাজ শুরু করবে এনবিআর।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply