কাতার বিশ্বকাপ: ‘গ্রুপ এ’ এর আদ্যোপান্ত

|

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২০ নভেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবল। মরুরবুকে আয়োজিত হতে যাওয়া এ বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই, ফুটবলভক্ত, অনুরাগীসহ সকলের। বিশ্বকাপের এ- গ্রুপের দলগুলোকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ভক্তদের মাঝে। এবারও দুর্দান্ত পারফর্ম করে বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নেয়া নেদারল্যান্ডস এই গ্রুপ থেকে শিরোপার দাবিদার। আসরে চমক দেখাতে পারে ইকুয়েডর, সেনেগাল; ফেলে দেয়ার মতো নয় আয়োজক দেশ কাতারও।

বিশ্বকাপ মানেই নেদারল্যান্ডসের জন্য আক্ষেপের নাম। তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা অধরা রয়ে গেছে ডাচদের। রাশিয়া বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব উতরাতে না পারলেও এবার দুর্দান্ত পারফর্ম করেই বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে ডাচরা। শক্তিমত্তার বিচারে ‘এ’ গ্রুপে থাকা ইকুয়েডর, সেনেগাল, কাতার- বেশ পিছিয়ে ডাচদের চেয়ে।

প্রতিপক্ষ বিবেচনায় গ্রুপ এ থেকে শেষ ষোলোতে সহজেই পৌঁছে যাওয়ার কথা নেদারল্যান্ডসের। দলের প্রতিটি পজিশনেই আছে ভালো খেলোয়াড়। দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আছেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। অপরদিকে, ২৮ বছর বয়সী মেমফিস ডিপেই ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ গোল থেকে মাত্র ৯ শট দূরে আছেন।

রোবেন, ভ্যান পার্সিদের উত্তরসূরী হিসেবে ভ্যান ডাইক, মেমফিস ডিপেইরা কি পারবে আরাধ্য শিরোপা নিজেদের করতে? নাকি আবারো ভারি হবে আক্ষেপের ঝুলি।

আয়োজক দেশ হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পেলেও এশিয়ায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই বিশ্বকাপে এসেছে কাতার। দলে বড় কোনো নাম না থাকলেও স্বাগতিক হিসেবে অঘটন ঘটাতে পারে এশিয়ার সেরা এ দল। আয়োজনে বাজিমাতের অপেক্ষায় থাকা দেশটি মাঠের পারফরমেন্সে কতোটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা ভক্তদের।

বিশ্বকাপ যখন হাতছোঁয়া দূরত্বে, তখনই ইনজুরির ছোবল সেনেগাল শিবিরে। দলটির সেরা তারকা সাদিও মানে আছেন চোট শঙ্কায়। শেষ পর্যন্ত তার খেলা না হলে সেনেগালের জন্য এটা হবে বড় এক ধাক্কা। এর আগে, ২০০২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিলো আফ্রিকার এই দেশটি। বেশ কয়েকজন তারকা দলে থাকলেও বিশ্বকাপে সেনেগালের উঠে আসার পেছনে বড় অবদান ছিলো সাদিও মানের। তবে, তার না থাকার ধাক্কা সামলে সুপার সিক্সটিনে পা রাখতে চাইবে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৮তে থাকা সেনেগাল। নেদারল্যান্ডসের সাথে গ্রুপ এ তে ফেভারিট আফ্রিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা এই দলও।

এদিকে, ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের বিশ্বকাপ খেলা নিয়েই ছিলো সংশয়। অবৈধ ফুটবলার খেলানোর দায়ে দেশটিকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলো চিলি ও পেরু। তবে, আদালত সেটি খারিজ করায় বিশ্বকাপ খেলতে বাঁধা নেই ইকুয়েডরের।

শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী দল হলেও ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে দূর্বল দলের একটি ইকুয়েডর। ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেটে খেলা দলটার সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে যাওয়ার। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে দলটির অবস্থান ৪৪।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply