জলবায়ু সংকটে ক্ষতিপূরণ আদায়ে সোচ্চার থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

মিশরে জলবায়ু সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা উঠলেই বরাবর শক্তিশালী দেশগুলোর কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় না। এবারের জলবায়ু সম্মেলনেও রাশিয়া, চীন এবং ভারতের মতো বড় দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগ দেননি। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জলবায়ু সংকট গুরুত্ব হারাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, বাংলাদেশ ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে সোচ্চার থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মিশরে জলবায়ু সম্মেলন ২০২২ এ যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছিলাম যুদ্ধের জন্য বা প্রতিরক্ষার জন্য যদি আপনারা ১ টাকাও দেন, তার ২০ শতাংশ যাবে জলবায়ু সংকট নিরসন খাতে। তাহলে আমাদের এ সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু ওরা কেউ মানেনি। তবে আমরা আমাদের দাবিতে সোচ্চার, আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে যাবো। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো পৃথিবীকে বাঁচানো।

ক্ষতিপূরণের কথা উঠলেই নানা অজুহাত সামনে আসে উল্লেখ করে পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ হচ্ছে তখনই বাংলাদেশে সাইক্লোন হচ্ছে; সিলেটে বন্যা হচ্ছে; তখনই পাকিস্তান বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে; আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে খরা হচ্ছে। সুতরাং সংকটকে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল না, তখনও কিন্তু ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। যুদ্ধকে একটা যুক্তি হিসেবে দাঁড় করানো যায়, কিন্তু এখন প্রকৃত মানবিক সংকট হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বমন্দাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে উন্নত দেশগুলো। এর ফলে জলবায়ু সংকটের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আড়াল হয়ে যাচ্ছে বলেও শঙ্কা তাদের। তবে দীর্ঘমেয়াদে সেই যুদ্ধের চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভয়াবহ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাই কারণ যেটিই হোক, জলবায়ু সংকটকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখার কোনো বিকল্প নেই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply