সৌদি সাংবাদিক এবং মার্কিন বাসিন্দা জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়মুক্তি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ দায়মুক্তি ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জামাল খাসোগির সাবেক বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস।
মার্কিন প্রশাসনের এমন রায় প্রকাশের পরপরই টুইটারে খাশোগির সাবেক বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস লেখেন, জামাল আজ আবার মারা গেল। আমরা ভেবেছিলাম, যুক্তরাষ্ট্র এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার করবে, কিন্তু স্বার্থ ও টাকার কাছে তারাও হেরে গেল।
মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবীরা বলছেন, একটি বিদেশি সরকারের বর্তমান প্রধান হিসেবে সৌদি যুবরাজ মার্কিন আদালতের বিচারের আওতা থেকে রেহাই পাবেন। রাষ্ট্রপ্রধানের দায়মুক্তির রীতি প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র লিখিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী নীতি অনুযায়ীই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাস থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে জানান, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাষ্ট্রীয় ডিক্রির মাধ্যমে মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বানান। জামাল খাসোগি হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন সৌদি যুবরাজ। যদিও পরবর্তীতে সালমান জানান, এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, সৌদি নেতৃত্ব ও তার কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ও গণতন্ত্রের সমর্থক জামাল খাসোগিকে অপহরণ করে আটকে রেখে মাদক প্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।
ইউএইচ/
Leave a reply