২৮ বছর-কম সময় নয়। এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দেখা পেল ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। কাগজে-কলমে অবশ্য এই ম্যাচে ইংলিশরাই ফেভারিট ছিল। কিন্তু ইতিহাস তাদের পক্ষে ছিল না। এর আগে, বিশ্বকাপে কখনোই সুইডেনকে হারাতে পারেনি তারা। এবারও সুইডেন দারুণ ছন্দে ছিল। বিশেষ করে তাদের জমাট রক্ষণ ভেদ করা যেন রীতিমতো দুঃসাধ্য ছিল। সে কাজটি ঠিকই মাথা খাটিয়ে করেছেন সাউথগেটের শিষ্যরা। দুটি গোলই করেছেন হেড থেকে।
সামারা এরিনায় খেলার শুরু থেকেই বল দখলে রেখেছে ইংল্যান্ড। যদিও প্রথম ১৮ মিনিটে বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি কোনো দলই। ১৯-তম মিনিটে সুইডেনের পোস্টে দুর্দান্ত শট নেন হ্যারি কেইন। তবে তা গোলপোস্টের ডানদিক দিয়ে চলে যায়। এরপরই যেন আক্রমণের ছন্দ খুঁজে পায় ইংল্যান্ড। ৩০ মিনিটে অ্যাশলে ইয়াংয়ের কর্নার থেকে নিশানা ভেদ করেন হ্যারি মাগুইরে। এর পরেও রক্ষণাত্মক না হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে ইংলিশরা। ৪৪-তম মিনিটে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাহিম স্টার্লিং।
বিরতির পর আক্রমণের গতি আরও বাড়ায় ইংল্যান্ড। ৫৯ মিনিটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেলে আলি। এতে ০- ২ গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। দুটো গোলই হয়েছে হেড থেকে। এর পর গোল পরিশোধে মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়ে বেশ ক’টি দারুণ সুযোগও পায় তারা। তবে, ইংল্যান্ডের রক্ষণ ফাঁকি দিতে পারলেও গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিতে পারেননি। দারুণ দক্ষতার সাথে ইংলিশদের পোস্ট সামলেছেন পিকফোর্ড। দৃঢ়চেতা পিকফোর্ডই যেন ছিল এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিচ্ছবি। আত্মবিশ্বাস সাথে নিয়েই শেষ চারে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply