ফ্রিল্যান্সিং করেই কোটিপতি মাগুরার যুবক

|

মেহেদী হাসান।

কম্পিউটার সায়ন্সে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন মাগুরার মেহেদী হাসান। তবে ইঞ্জিনিয়ার হয়েও গতানুগতিক পেশার দিকে না ঝুঁকে মেহেদী বেছে নিয়েছেন ভিন্ন ও স্বাধীন পেশা, ফ্রিল্যান্সিং। আর তাতেই হয়েছে ভাগ্যবদল। কমবয়সেই মেহেদী এখন কোটিপতি।

মেহেদী জানান, ২০০৭ সাল থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তিনি। সে বছরই কম্পিউটর সায়েন্সে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন তিনি। কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ থেকেই এটিকে পরবর্তীতে পেশা হিসেবে বেছে নেন এই যুবক। তবে চাকরি করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ ছিল ব্যাপক।

গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শেখেন মেহেদী হাসান। ঢাকাতে ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট ও সফটওয়্যারের কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে নিজ শহর মাগুরাতে ফিরে আসেন মেহেদী। তারপর থেকেই বাড়িতে বসে ফ্রিল্যান্সিং করছেন এই যুবক।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি যুবসমাজকেও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন মেহেদী। তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই এখন বাড়ি বসেই অর্থ উপার্জনে সক্ষম মাগুরার অনেক যুবক।

মেহেদী বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর বেকার মানুষ আছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যাতে তারা টাকা ইনকাম করতে পারে, এই পেশাকে যাতে আরও মানুষের মধ্যে ছাড়িয়ে দেয়া যায় সেজন্য কাজ করছি।

এই পেশাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ফ্রিল্যান্সারদের একটি প্ল্যাটফর্মে আনার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম। মেহেদী হাসানের মতো এমন আরও যুবক ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ড. আশরাফুল আলম।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply