ছেলের দায়ের কোপে আহত বাবা-মা, নিহত ১, গণপিটুনিতে প্রাণ হারালো ঘাতক

|

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির দায়ের কোপে এক গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। একদিন আগে ওই ব্যক্তি কুপিয়ে আহত করে তার নিজের মা ও বাবাকে। এতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঘাতককে পিটিয়ে হত্যা করে। বাঘাইছড়ির সারোয়াতলী ইউনিয়নের চিন্তারামছড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ঘাতকের স্বজনরা জানায়, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে মা কালাচুলি চাকমা (৫৫) ও বাবা রত্ন কুমার চাকমার সাথে বসে টিভি দেখছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মঞ্জু চাকমা। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা দা দিয়ে মা-বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে মঞ্জু। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে মঞ্জু পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।

স্থানীয়রা জানায়, এসব ঘটনার পর শনিবার (১০ ডিসেম্বর) মঞ্জু চাকমাকে খুঁজতে বের হন এলাকার ২০-৩০ জন প্রতিবেশী। একপর্যায়ে তারা চিন্তারামছড়া গ্রামের কালভার্ট এলাকায় পৌঁছালে ধন্য চাকমা (৩৫) ও সরল চাকমার (৬০) ওপর অতর্কিত হামলা করে মঞ্জু চাকমা। এ সময় ধন্য চাকমা পালিয়ে যেতে পারলেও সরল চাকমা পালাতে পারেননি। এতে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে দা দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত লোকজন ঘিরে ধরে ভারসাম্যহীন মঞ্জু চাকমাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মধুসূদন চাকমা বলেন, মঞ্জু আমার বড় ভাইয়ের ছেলে। আজ এবং কাল যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমার বড় ভাই ও ভাবী এখন শঙ্কামুক্ত। তবে আজ মঞ্জু চাকমার হামলায় একজনের মৃত্যু হয় এবং গণপিটুনিতে সে নিজেও মারা গেছে।

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দা দিয়ে কুপিয়ে একজনের মৃত্যু ও ভারসাম্যহীন ব্যক্তির গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply