ফারদিন হত্যা: র‍্যাবের হেডকোয়ার্টারে গিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

|

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে র‍্যাবের হেডকোয়ার্টারে গেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীদের অন্তত ৪০ জনের একটি টিম। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার পর কারওয়ানবাজারে র‍্যাবের প্রধান কার্যালয়ে যান শিক্ষার্থীদের এই টিম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বুয়েট শিক্ষার্থীদের এই দলটিই ফারদিন হত্যা নিয়ে কথা বলতে ডিবির কার্যালয়ে যান। সেখানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য, কিছু কিছু জায়গায় কিছু গ্যাপ আছে, কিছু অস্পষ্টতা আছে। এগুলো নিয়ে আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। অবশ্য ডিবির কর্মতৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুয়েটছাত্র ফারদিনকে খুন নয়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।

ডিবি জানায়, ভুক্তভোগী ফারদিন নূর পরশ অন্তর্মুখী ছিলেন। সবার সাথে সব কিছু শেয়ার করতে পারতেন না। তার রেজাল্ট গ্রাজুয়ালি খারাপ হচ্ছিল। প্রথম সেমিস্টারে ৩.১৫ তারপর কমতে কমতে ২.৬৭ পয়েন্ট হয়, যেটা বাসার লোকজন বা আত্মীয়-স্বজন কেউ জানতো না। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে স্পেন যাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল ফারদিনের, যেটা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। বন্ধুরা ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিল। নিজে টিউশন করতেন ৪টা। সব টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট ২ ভাইয়ের পড়ালেখা করাতেন। তারপরও বাড়ি থেকে বলা হয় হলে থাকা যাবে না। এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিল ভুক্তভোগী যেটি সে মানতে পারেনি। এসব কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

ময়নাতদন্তের বিষয় উল্লেখ করে ডিবি জানায়, যে ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছেন তাদের সাথে আমরা অনেক বার যোগাযোগ করি। ভিসেরা রিপোর্ট এখনো আসে নাই। আসলে পূণাঙ্গ মতামত তারা দিবেন। প্রাথমিকভাবে যেটা দিয়েছে সেখানে মাথায় আঘাতের কথা বলা আছে। কিন্তু খুবই সামান্য আঘাত সেটা। এই আঘাতে সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে মর্মে জানানো হয়। যদিও মিডিয়ার সামনে বলে ফেলেছেন মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন থাকলে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে উঠে আসতো। সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই। ফারদিন সাঁতার জানতো না বলেও জানায় ডিবি।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন বুয়েট ছাত্র ফারদিন। পরদিন ৫ নভেম্বর তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ৭ নভেম্বর তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply