টাঙ্গাইলে জনশক্তি অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য থামছেই না। হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিদেশগামী কর্মীরা। প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অফিসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীও এতে জড়িত। যদিও তাদের দাবি, দালাল চক্রের বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।
জেলার সরকারি এই অফিসে বিদেশগামী কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও হয়েছে অনেক। তবুও যেন দেখার কেউ নেই। সেবা প্রার্থীদের অভিযোগ, ফরম জমা দেয়া থেকে শুরু করে কোনো কাজই এগোয় না দালাল ছাড়া। আঙ্গুলের ছাপ দিতে সরকার নির্ধারিত ফি যেখানে ২২০ টাকা সেখানে গুনতে হয় ১ হাজার টাকা। আবার প্রতারণার শিকারও হন অনেকে।
অভিযোগ আছে, অফিসের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশেই তৎপর দালাল চক্র।
তবে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের কথা অস্বীকার করেছেন জরিপ অফিসার এম এ জলিল। আর দালাল চক্রের বিষয়টি এড়িয়ে সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তির জন্য সার্ভার জটিলতাকে দায়ী করেছেন টাঙ্গাইলের কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান আল কামাল। যদিও এসব বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আশেপাশের কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকানের কেউ কেউ দালাল চক্রের সাথে জড়িত বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এটিএম/
Leave a reply