যৌন হয়রানি: পুলিশ সাইবার সাপোর্টে ১ বছরে ৯ হাজারের বেশি অভিযোগ

|

ফারহানা ন্যান্সি:

এক বছরে ৯ হাজার তিনশ তেষট্টিটি অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন বিভাগে। যার মধ্যে বেশিরভাগই ফেইসবুকে ফেইক আইডি থেকে যৌন হয়রানির।

পুলিশের দাবি, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় অনেক ভুক্তভোগী নারীই আইনি প্রক্রিয়া চালু রাখতে আগ্রহী হন না। এছাড়া, অনেক ভুক্তভোগী রয়েছেন, যারা কোথায়-কীভাবে অভিযোগ করতে হয় তা জানেনই না।

অভিযোগের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৪ হাজার ১০২টি ফেইক আইডি খুলে সবচেয়ে বেশি হয়রানি করা হয়েছে। অর্থাৎ ৪২ শতাংশ ফেইক আইডিতে ভুক্তভোগীর ছবি, ভিডিও বা তথ্য প্রচার করা হয়। ১ হাজার ৪৩০টি আইডি হ্যাক, ব্ল্যাকমেইল ১ হাজার ৮৩৪টি, মোবাইল হ্যারেসমেন্ট ৭৯৭টি এবং আপত্তিকর কন্টেন্টের অভিযোগ জমা পড়ে ৯৮৬টি।

১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরাই অভিযোগ করেন বেশি। যা গত এক বছরে পড়া অভিযোগকারীর ৪৯ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচে ২১ শতাংশ। ২০ শতাংশ নারী ২৪ থেকে ৩০ বছর বয়সী এবং ১০ শতাংশ ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে।

পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন বিভাগের অনুসন্ধানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাক্তন স্বামী, বন্ধু, প্রতিবেশি, ড্রাইভার, দারোয়ান এবং অনেক সময় আত্মীয়স্বজনের নাম উঠে আসে।

পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালেদা বেগম বলেন, প্রাক্তন স্বামী বা বন্ধু, প্রতিবেশি, ড্রাইবার বা এমনিক দারোয়ানও মেসেজ দিয়ে ভয় দেখান। হয়তো কোনো আপত্তিকর ছবি রেখে দিয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান।

অভিযোগধারীদের বিভাগভিত্তিক অবস্থান দেখলে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগ থেকে আসে ৫১ শতাংশ অভিযোগ। চট্টগ্রাম থেকে ১২ শতাংশ, খুলনা থেকে ৮ শতাংশ, বরিশাল বিভাগ থেকে ৭ শতাংশ, সিলেট ও ময়মনসিংহ থেকে ৬ শতাংশ এবং রাজশাহী ও রংপুর থেকে ৫ শতাংশ অভিযোগ পাওয়া যায়।

নারীরা র্নিভয়ে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন বিভাগে অভিযোগ করলেও অনেকে পরবর্তী তথ্য সহায়তা করতে চান না। পুলিশের এ ইউনিট তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তাসহ আইনি প্রক্রিয়ার দিকর্নিদেশনা দেয়া হয়।

খালেদা বেগম বলেন, এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগম্যাধম ব্যবহারে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে সাইবার স্পেসে হয়রানি হলে বা অন্য কোনো সমস্যার কথা আমাদের জানাতে পারেন।

নারীরা নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হলে সাইবার স্পেসে যৌন হয়রানি কমানো সহজ হবে বলে মত পুলিশের।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply