উদ্বোধন ২৮ ডিসেম্বর, তবে মেট্রোরেল সবার জন্য উন্মুক্ত হবে পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে। শুরুতে সীমিত পরিসরে যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রো। ট্রেনের সংখ্যাও থাকবে কম। ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে যাত্রী এবং ট্রেন। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিচালনায় আসবে দেশের প্রথম মেট্রো। এজন্য জনবল নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণও শেষ করা হবে এই সময়ের মধ্যে।
উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোতে ভ্রমণ করবেন আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত। পরের দিন থেকেই যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হবে মেট্রো। টিকেট বিক্রিও শুরু হবে।
প্রথমদিকে পাঁচটি ট্রেনে সকালে আর বিকেলে কয়েকটি করে ট্রিপ পরিচালনা করা হবে। পরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দশটি ট্রেন চলবে। ট্রেনে যাত্রীদের উঠানামা, আসনে বসা-এসব বিষয়ে অভ্যস্ত ও পরিচিত করাতে শুরুতে স্টেশনে ট্রেন কিছুটা বাড়তি সময় অপেক্ষা করবে। এজন্য উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও যেতে সময় লাগবে প্রায় ২০ মিনিট। পরে তা ১৬ থেকে ১৭ মিনিটে নেমে আসবে।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, দুই থেকে তিন মাসের ভেতরে একদম শতভাগ অপারেশন যেভাবে চলে, সেভাবে মেট্রো চলবে। প্রথমে সকালে এবং বিকেলে চলার এক সপ্তাহ পর আমরা সময় বাড়াবো।
তিনি আরও বলেন, প্রথমদিকে আমরা পরিপূর্ণ যাত্রী নেব না। কিন্তু যখন মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন পর্যায়ক্রমে যাত্রী বৃদ্ধি করা হবে।
শুরুতে সব স্টেশনে থামবে না মেট্রোরেল। প্রথম স্টেশন উত্তরা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি সরাসরি পৌঁছবে পল্লবীতে। এরপর না থেমে আগারগাঁও। মাঝের স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামানোর কার্যক্রম শুরু হবে ধীরে ধরে।
মেট্রোর পূর্ণাঙ্গ পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ কাজও চলছে। আগামী এক বছর মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও দিয়েছে ডিএমটিসিএল’কে।
এটিএম/
Leave a reply