আখাউড়া প্রতিনিধি:
প্রতিবেশী ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ শনাক্ত হওয়ায় আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। বিএফ.৭ এর সংক্রমণরোধে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বিশেষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যে
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বিশেষ করে, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজন যাত্রীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও রয়েছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সন্দেহভাজন ৬ ভারতীয় নাগরিকের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। তবে ৬ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান যমুনা নিউজকে জানান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভারত থেকে আসা সব যাত্রীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য নির্ধারিত ফরমে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। কাউকে সন্দেহ হলে চেকপোস্টেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। যদি কেউ পজেটিভ হন, তাহলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। সে প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক রয়েছে। যাত্রীদেরকেও সতর্ক করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, মেডিকেল টিমের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের মেডিকেল টিমের কাছে নিয়ে আসা হয়, এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, বলেও জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম আরও জোরদারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা আসে। ওই পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply