গরু-ছাগল বেড়েছে দেশে, কৃষি শুমারির রিপোর্ট

|

ফাইল ছবি

প্রায় তেরো বছর পর খানাভিত্তিক কৃষি শুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০১৯ সালের জুন মাসের তথ্য, বর্তমান জাতীয় পরিকল্পনায় কতটুকু সহায়ক হবে, এমন প্রশ্ন তোলের খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ফসলী জমির পরিমাণ কমেছে। বেড়েছে গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে কৃষি শুমারি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে কৃষকের সংখ্যা কতো? সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই কৃষি শুমারিতে। বিভিন্নভাবে কৃষিকাজে নিয়োজিত আছেন কতো সংখ্যক মানুষ, তারও উত্তর মেলেনি কৃষি শুমারি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।

নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন বছর পর ২০১৯ সালের কৃষি শুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করলো পরিসংখ্যান ব্যুরো। খানাভিত্তিক এ শুমারিতে দেখা যায়, দেশে মোট খানার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৫২ হাজার। যা ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় ৬৯ লাখ বেশি। মোট কৃষি খানার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ। আর মোট কৃষি মজুর খানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ লাখ। রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দশকটা কিন্তু রক্ষা করতে পারেনি। আমি জানি আপনারা অনেক দক্ষ ও যোগ্য মানুষ তবুও আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে দশ বছরের শুমারি যেনো দশ বছরেই প্রকাশ করা হয়। কোনো অনিয়মিতা যেনো না থাকে, কারণ শুমারিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় দেশে নিট আবাদী জমির পরিমাণ এবং নিট অস্থায়ী ফসলাধীন জমির পরিমাণ কমেছে। দেশে নিট আবাদী জমির পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। যার মধ্যে নিট অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর। প্রতি দশ বছর অন্তর এমন শুমারি জাতীয় পরিকল্পনায় খুব একটা সহায়ক নয় বলে মনে করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আউটপুটটা ইকুয়ালি ডিপেন্ডেবল নয়। তুলনামূলকভাবে বেখাপ্পা হয়ে গেছে। প্রকৃত বার্তা আমাদের কাছে আসছে না। দশ বছর পর পর শুমারি হয়, এগুলো সময়মতো এবং আরও নিখুঁতভাবে করা উচিত।

শুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশে হাঁস, মুরগি ও গরু-ছাগলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখের কিছু বেশি। আর ছাগল আছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply