চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান। যদিও জিনপিং প্রশাসনের হিসেবে মৃতের সংখ্যা আরও কম। এদিকে, চীনের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়ায় দেশটিতে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
চীনের একটি করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রতিটি বেডেই চিকিৎসা চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। সম্প্রতি দেশটিতে করোনার প্রকোপ বাড়ার পর বেশিরভাগ হাসপাতালেই দেখা গেছে এমন দৃশ্যের।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাতে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি নাগাদ এ সংখ্যা ২৫ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে। যদিও চীনের সরকারি হিসেবে আক্রান্ত এবং মৃত্যের সংখ্যা আরও কম। তবে প্রশাসনের কর্মতৎপরতায় স্পষ্ট যে, দেশটিতে করোনার বিস্তার এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।
চীনের শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওয়াং জিয়াংপেন এ প্রসঙ্গে বলেন- জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথার মতো রোগের ওষুধের উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি। কারণ এ মুহূর্তে এগুলোর চাহিদাও বেশি। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে এসব ওষুধের উৎপাদন আমরা ৪ গুণ বেশি বাড়িয়েছি।
এ অবস্থায় চীন ভ্রমণে নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট এবং পিসিআর টেস্ট ছাড়া ইউরোপের দেশগুলোতে কোনো চীনা নাগরিক প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গে স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যারোলাইনা দারিয়াস বলেন, চীনের পরিস্থিতি এখন এতোটাই ঝুকিপূর্ণ যে আমরা সতর্কতা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। চীন থেকে যারা আসবেন তাদের অবশ্যই পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া থাকতে হবে। এর পাশাপাশি, কোভিড টেস্টে নেগেটিভও হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে তারা স্পেনে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না ।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগই বিএফ.সেভেন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
/এসএইচ
Leave a reply