দুই দিন পেরোলেও বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি অনেক প্রতিষ্ঠান। কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ মাত্রই শুরু হয়েছে। কোথাও আবার শেষ মুহূর্তে রঙের প্রলেপ দিচ্ছেন কারিগররা। তাই, পূর্বাচলে মেলায় ঢু মেরে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
এদিকে, আসবাবপত্রের কর্ণারে দেখা মিলবে নতুন কিছুর। বেশিরভাগ দোকানেই ভারী ফার্নিচারের দেখা নেই। খাট, আলমারি থেকে বাদ পড়েছে সেকেলে ভিক্টোরিয়ান ডিজাইন। কাঠের পরিবর্তে নির্মাণের বড় অংশে ব্যবহার হচ্ছে ভিনইয়ার্ড বোর্ড, ওক বিচ ও মেহগনি কাঠ। বিদেশি লেকার কিংবা ডকু পেইন্টের সুবাদে যেকোনো রঙ দেয়া যাচ্ছে আসবাবে। কিন্তু এত আয়োজনের পরও প্যাভিলিয়নে খুব বেশি ক্রেতার দেখা নেই।
যারা আসছেন, তারা আধুনিক ও হালকা আসবাবে ঝুঁকছেন। একই ফার্নিচারে চাইছেন একাধিক সুবিধা। সেসব ভাবনা মাথায় রেখেই বাণিজ্য মেলায় পসরা সাজিয়েছে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড। তবে দাম মধ্যবিত্তের খুব একটা নাগালে নেই।
কোম্পানিগুলো বলছে, বিদেশি বোর্ড ও রঙ আমদানি করে আসবাব তৈরি করতে হচ্ছে। তাই ডলারের চড়া বাজারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। ব্র্যান্ডভেদে এক একটির অংশের দাম বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ। বাণিজ্য মেলায় স্পেশাল ডিসকাউন্ট আর অফার না পেয়ে হতাশ অনেকে। বলছেন, বেশিরভাগ এলাকা থেকে বাণিজ্য মেলায় পরিবহন এখনও সহজ নয়। অভাব আছে অন্যান্য সুযোগ সুবিধার।
এবারের ঢাকা বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩শ’ প্রতিষ্ঠান।
/এমএন
Leave a reply