ছাত্রলীগ নেতার হামলায় পা ভাঙলো যুবলীগ নেতার

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তার বাহিনীর সদস্যরা পিটিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিক সুমনের (৩৫) পা ভেঙে দিয়েছে। এ সময় যুবলীগ নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও একজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রামপাল সদরের ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যানের মোড়ে সড়কের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার পর যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিকসহ অপর আহত জিয়াউর রহমানকে (৩২) স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার দু’দিন আগে সোমবার রাতে একই উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহতের ঘটনা ঘটে।

যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিক সুমনের ওপর হামলার খবর পেয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্সসহ নেতৃবৃন্দ আহত যুবলীগ নেতা লিটনকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন।

রামপাল সদর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আহত লিটন মল্লিকের বাবা সিদ্দিক মল্লিক জানান, দলীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে রামপাল সদরের ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে সড়কের ওপর আমার ছেলেকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সিদ্দিকসহ তার বাহিনীর সদস্যরা রাম দা, রড, হাতুড়ি ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিয়েছে। এ সময়ে আমার ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে জিয়াউর রহমান আহত হয়। স্থানীয়রা আমার ছেলেসহ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে রামপাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থা খারাপ হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঝনঝনিয়া এলাকার চেয়ারম্যানের মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউএইচ/