ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজন, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে ছাত্রলীগ

|

ভাস্কর ভাদুড়ী:

ঐতিহ্য নষ্ট করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কমিটি চাপিয়ে দিতে রাজি নয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগও বৃদ্ধি করতে চায় সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব। ছাত্রলীগের উদ্যোগেই প্রতিটি ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হবে ক্যারিয়ার ফেয়ার, গণিত অলিম্পিয়াড ও ভাষা অলিম্পিয়াডের মতো কর্মসূচি। এমন নানা অঙ্গীকার নিয়েই ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি।

গেলো মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ৩০ তম সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্ধারণের দায়িত্ব ছাত্রলীগের কর্মীরা অর্পন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। এরপর ২০ ডিসেম্বর সংগঠনটির নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।

বর্তমান নেতৃত্ব কর্মীদের খুব একটা নিরাশ করেননি। দায়িত্ব নেবার পর অগ্রজদের অনুসরণ করে দামি কোনো ফ্ল্যাটে উঠেননি তারা। নিয়মিত ছাত্র হিসেবে এখনও থাকছেন হলেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার পরিবেশ তৈরি করাই ছাত্রলীগের অন্যতম উদ্দেশ্য, এমনটা মাথায় রেখে কাজ শুরু করতে চাচ্ছে বর্তমান কমিটি।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্বের শিক্ষা মানচিত্রে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জায়গা করে নিতে হবে। যে কারণে উচ্চ শিক্ষার আন্দোলনটি আমরা পরিচালনা করতে চাই। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক পরিবেশ যেন সমুন্নত থাকে। ছাত্র রাজনীতি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখার জন্য। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার- বিশেষ করে তারা ভালো গ্রাজুয়েট হবে, তারা লেখাপড়া শেষ করে কর্মবাজারে প্রবেশ করতে পারবে, সে দক্ষতা যেন তারা অর্জন করতে পারে এজন্য আমরা রাজনীতি করতে চাই।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন, রোবটিকস প্রতিযোগিতা, রোবটিকস অলিম্পিয়াড, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, ভাষা অলিম্পিয়াড। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার স্কিল আরও কীভাবে উন্নত করা যায়, সেটি নিয়ে কাজ করবো। আইটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আমরা কোডিং প্রতিযোগিতার চিন্তা করেছি।

মূলস্রোতের বাইরে থাকা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেবে বর্তমান কমিটি।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কিছু বাস্তবতা রয়েছে। মাদারাসগুলোরও কিছু ঐতিহাসিক বাস্তবতা রয়েছে। আমরা এমনভাবে ছাত্ররাজনীতি পরিচালনা করতে চাই, যাতে করে যার যার সংগঠনের স্বকীয়তা, স্বশাসন অক্ষুণ্ন থাকে। কিছু বিষয়ে আসলে ঐক্যমত্য তৈরি করা প্রয়োজন, সেখানকার ছেলেমেয়েরা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি গভীর মমত্ববোধ লালন কনে। জাতি হিসেবে আমরা কিছু রাষ্ট্রীয় অনুশীলন করি, সে বিষয়েও আমাদের এক ধরনের ঐক্যমত্য তৈরি করতে হবে।

শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমাদের বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের সাথে কথা বলে কীভবে জব ফেয়ার, ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজন করা যায় সেটি করা হবে। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ যেন হয়, শিক্ষা জীবনের সাথে পরবর্তী জীবনের মেলবন্ধনের প্রধানতম চালিকা শক্তি।

ছাত্রলীগের নেতারা জানান, এতো কিছুর মাঝে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে থাকবে নানা কর্মসূাচি। অভ্যন্তরীন কোন্দল বন্ধে আগের কমিটিগুলোর চেয়ে বর্তমান কমিটি থাকবে কঠোর অবস্থানে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply