সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে গাইবান্ধার উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, অপেক্ষা ফলাফলের

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় ১৪৫টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম এ এখন চলছে ভোট গণনা। ভোটের ফলাফল জানতে কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক, ভোটারসহ সাধারণ মানুষ। ফলাফলে কে হাসবেন শেষ হাসি তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রনজু।

ভোটগ্রহণ শেষে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রনজু বলেন, কঠোর নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে, কিছু কিছু কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। কেন্দ্রগুলোতে ভোটের যে ফলাফল তাতেও প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা করছেন তিনি। সুষ্ঠুভাবে ফলাফল ঘোষণা হলে লাঙলের জয় সুনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেন করেন তিনি।

এদিকে, সুষ্ঠুভাবে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ ভোটের মাঠে দায়িত্বরত সকলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি বলেন, সকলের আন্তরিকতায় সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দিনভর সাঘাটা-ফুলছড়ির মানুষ নৌকা প্রতীকেই ভোট দিয়েছেন। এ কারণে ফলাফলে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।

বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যের তৎপরতায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সবগুলোতেই নির্ধারিত সময় সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোটগ্রহণ শেষে স্ব-স্ব কেন্দ্রেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এরপর সব কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে দুই উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ। এ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় ছিলেন মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)। এছাড়া, অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply