সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ জরুরি: সিইসি

|

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ সুষ্ঠু নির্বাচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে- বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ এর দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। উপনির্বাচনে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি। শীতের তীব্রতায় ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) চার বছরের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনের ৩য় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। অনিয়মের দায়ে আগের উপনির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিলো নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় আয়োজনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো তুলনামুলক কম। যদিও কমিশন বলছে, ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে গাইবান্ধা উপনির্বাচনে।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ওখানে তো মূলত চরাঞ্চল ৩২টা কেন্দ্র বেশ দুর্গম এলাকায়। এর বাইরে যেসব এলাকা সেখানে প্রচণ্ড শীত। শীতের জন্য ভোটারের উপস্থিতি একটু কম ছিল বলে আমার মনে হয়।

গাইবান্ধায় আবারও ভোট ডাকাত ধরতে সকাল থেকে নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরায় ইসির পর্যবেক্ষন। তবে এবারের পরিবেশ ভিন্ন। গোপন কক্ষে মেলেনি কোনো জনমত ছিনতাইকারী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন- সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণটা অনেক তীক্ষ্ণ, সুক্ষ ও অনেক বেশি কার্যকর হচ্ছে। এবং প্রার্থীরাও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা যে অভিজ্ঞতাটা অর্জন করেছি বা করছি এটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আগেরবার অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হলেও এখনো বাস্তবায়নের কোন চিঠি পায়নি ইসি। আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখনও কোনো উত্তর পাইনি। কিন্তু যেহেতু আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করে যাবো তাই আমরা ফলোআপ করবো। এক্ষেত্রে আপনারা দুই বা তিন মাস অপেক্ষা করতে পারেন।

ভবিষ্যতেও ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply