২০২২ সালে সর্বোচ্চ আয় কিলিয়ান এমবাপ্পের: ফোর্বস

|

ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সাল ছিলো ফুটবল উন্মাদনার বছর। যেখানে সারা বছরই বিভিন্ন সময় ছিলো ক্লাব ও জাতীয় দলগুলোর খেলা। বছর শেষ হতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে গেলো বছরের শীর্ষ ১০ ফুটবলারের তালিকা। যেখানে মেসি-রোনালদোকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে সেরা দশের তালিকায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ইডেন হ্যাজার্ড জায়গা করে নিয়ে বেশ তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

কিলিয়ান এমবাপ্পে

১২৮ মিলিয়ন ডলার আয় করে ২০২২ সালের সর্বোচ্চ আয়ের ফুটবলার হয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। যেখানে তার ১১০ মিলিয়ন ডলারই আয় হয়েছে মাঠে খেলে।

২০২১ সালে মাত্র ৪৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে এই তালিকার চারে ছিলেন এমবাপ্পে। ২৪ বছর বয়সী এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট তার সতীর্থ লিওনেল মেসিকে ফাইনালে না হারাতে পারলেও, অর্থ আয়ের দিক থেকে পেছনে ফেলেছেন।

২০১৮ সালে ১৯১ মিলিয়ন ডলারে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

লিওনেল মেসি

২০২১ সালের মত ২০২২ সালেও সর্বোচ্চ ১০ আয়ের ২য় স্থান ধরে রেখেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। যদিও গেলো বছরটি ছিলো মেসির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি বছর।

ক্যারিয়ারে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা আমেরিকা সব ট্রফি জিতলেও বিশ্বকাপের আক্ষেপটা বড় করে ছিলো। যা মিটেছে কাতার বিশ্বকাপে।

১২০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ২০২২ সালের ২য় সর্বোচ্চ আয়ের ফুটবলার হওয়া মেসি, ২০২১ সালে ১১০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ছিলেন এই অবস্থানেই।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে সৌদি আরবের আল-নাসের ক্লাবে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময় যোগ দিয়ে শীর্ষ আয়ের তালিকায় তিনে উঠে এসেছেন সিআর সেভেন।

৩৭ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ উইঙ্গার ২০২২ সালে মাঠের বাইরেই আয় করেছেন রেকর্ড ৬০ মিলিয়ন ডলার।

১২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে ২০২১ সালের শীর্ষ ফুটবলার ছিলেন রোনালদো। এবার নেমে গেছেন দুই ধাপ নিচে।

নেইমার

২০২২ সালের সর্বোচ্চ আয়ের ফুটবলারদের মাঝে নেইমার পিএসজির ৩য় ফুটবলার। ২২২ মিলিয়ন ডলার ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেয়া নেইমার ২০২২ সালের ৪র্থ সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলার।

গেলো বছর ৮৭ মিলিয়ন ডলার আয় করা নেইমার একধাপ নেমে গেছেন। ২০২১ সালে ৯৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে ছিলেন তালিকার তিনে।

মোহাম্মদ সালাহ

লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ ৫৩ মিলিয়ন ডলার আয় করে ২০২২ সালের ৫ম সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় আছেন।

২০১৭ সালের রোমা থেকে লিভারপুলের যোগ দেন সালাহ। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৫ ম্যাচে অলরেডদের হয়ে ১৬ টি গোল আর ৬ এসিস্ট করেছেন তিনি। অবশ্য আয় কিছুটা বাড়লেও ২০২১ সালের ৫ম স্থানটি ধরে রেখেছেন সালাহ।

আরলিং হালান্ড

নরওয়ের উঠতি তারকা ২০২২ সালের জুলাইতে বেশ বড় এক দলবদল করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন।

৩৯ মিলিয়ন ডলার আয় করে ২০২২ সালের অন্যতম সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় ছয় নম্বরে উঠে আসেন। ২০২১ সালের তালিকায় ছিলেন না হালান্ড। তবে সিটিদের যোগ দেবার সাথে সাথে বেড়ে যায় তার আয়।

রবার্ট লেভানডভস্কি

২০২২ সালে বার্সেলোনার অন্যতম সেরা চুক্তি ছিলো বায়ার্ন মিউনিখ থেকে পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডভস্কিকে উড়িয়ে আনা। এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ১৮ গোল করে কাতালানদের জানিয়ে দিয়েছেন তাকে এনে ভুল করেনি ক্লাবটি।

৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার ৩৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকার ৭ম স্থানটি দখল করে নিয়েছেন। ২০২১ সালে একই অর্থ আয় করলেও ছিলেন ছয়ে। তবে অন্যদের আয় বেড়ে যাওয়া এবার তাকে নেমে যেতে হয় একধাপ নিচে।

ইডেন হ্যাজার্ড

রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান তারকা ইডেন হ্যাজার্ড ২০১৯ সালে ১১৫ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি নিয়ে চেলসি থেকে লস মেরেঙ্গুয়েসে যোগ দেন। তখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছেড়েছিলেন রিয়াল।

রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময় হ্যাজার্ডের চেলসিতে খেলা কোন পারফর্ম্যান্সই দেখা যায় নি। লস বাঙ্কোসে কাটানো ৪ মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে ৭২ ম্যাচে মাত্র ৬ গোল পেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু এতো বাজে ফর্মের পরও গেলো দুই বছর ধরে সর্বোচ্চ ১০ আয়ের তালিকায় নাম চলে আসে এই বেলজিয়ানের। ২০২২ সালে ৩১ মিলিয়ন ডলার আয় করে আছেন ৮ম স্থানে। এর আগে ২০২১ সালে ২৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন তালিকার ১০ম স্থানে।

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা

বার্সেলোনার লিজেন্ড আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ৩৮ বছর বয়সে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন খেলা। ২০১৮ সালে জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবি’তে যোগ দিয়ে এখনও অবসরের কোন চিন্তা নেই তার।

২০২২ সালে ৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ৯ম সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলার হন ইনিয়েস্তা। ২০২১ সালে ৩৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে ৭ম সর্বোচ্চ ফুটবলার হয়েছিলেন।

কেভিন ডি ব্রুইনা

২০২২ সালে ২৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। গেলো বছর ১০টি ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে টপ টেনে চলে আসেন তিনি।

২০১৫ সালে জার্মান ক্লাব উলফসবর্গ থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন এই প্লে মেকার। এরপর থেকে দলের প্রাণভ্রমরা হয়ে যান ডি ব্রুইনা। ৪টি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তোলে সিটিজেনরা।

/এএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply