কৌশলগত শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা। শহরটি দখলে নেয়ার রুশ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ভোলদেমির জেলেনস্কি। উল্টো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে খনির শহরটিকে কেন্দ্র করে। এ অবস্থায় কিয়েভকে ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড। এদিকে, রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট সংস্কারের কাজ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। খবর ব্লুমবার্গের।
খনির শহর হিসেবে পরিচিত সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ধোয়াশা। তবে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটি নিয়ে চলছে তুমুল লড়াই। শহরটি রুশ সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করা হলেও, কিয়েভ বলছে- এখনও হাতছাড়া হয়নি সোলেদার। বরং লড়াইয়ে বেপরোয়া রাশিয়া বিপুল সংখ্যক সেনা হারিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি এ প্রসঙ্গে বলেন, আগ্রাসী বাহিনীর দাবি হাস্যকর। সোলেদারে এখনও বীরের মতো লড়ছে আমাদের বাহিনী। সেখানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে। সেনাদের কাছে নতুন করে অস্ত্রও পাঠানো হয়েছে। হাউইটজার এবং ট্যাংকের সাহায্যে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হচ্ছে রুশ বাহিনীকে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের লভিভ শহর সফর করেছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট। সফর শেষে তিনি ঘোষণা দেন ইউক্রেনকে ট্যাংক সরবাহের।
পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তার অংশ হিসেবে আমরা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা কিয়েভকে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করবো। যেকোনো মূল্যে রুশ আগ্রাসন রুখে দিতে ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, রুশ হামলায় ধ্বংস্তুপে পরিণত হওয়া ইউক্রেনীয় পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করেছে কিয়েভ প্রশাসন। যদিও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ভয়াবহ সংকট রয়েছে তাদের।
পাওয়ার প্ল্যান্ট সংস্কার করছেন এমন একজন টেকনিশিয়ান জানিয়েছেন, জ্বালানী নেই, আলো নেই। সবচেয়ে বড় সংকট হলো এ সংস্কারের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি দরকার সেগুলোও নেই। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি এসব পাওয়ার প্ল্যান্টকে কার্যকর করে তোলার। কারণ, এগুলো ছাড়া অন্ধকারে সমগ্র ইউক্রেন।
এদিকে, বাখমুত সংলগ্ন এলাকাগুলোয় রুশ হামলার পরিধি বাড়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মানবিক সংকট।
/এসএইচ
Leave a reply