ডায়াবেটিস সম্পূর্ণভাবে নিরাময়ের উপায় এখনো মানুষের অজানা। এ রোগে একবার আক্রান্ত হলে বয়ে বেড়াতে হবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে বশে রাখা সম্ভব। তার আগে সবচেয়ে জরুরি, নিজের ডায়াবেটিস আছে কিনা তা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শনাক্ত করা। আর এর জন্য মোটা দাগে শরীরের চারটি অংশের আচরণ তথা কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব।
এ তালিকায় প্রথমেই আসে চোখ। ডায়াবেটিস হলে প্রথমেই ইঙ্গিত দেয় চোখ। শর্করা রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলে। চোখের সামনেটা ঝাপসা হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই চোখে এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে।
ডায়াবিটিসের লক্ষণ ফুটে ওঠে পায়েও। ডায়াবেটিস হলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার প্রভাবে পায়ের পাতায় র্যাশ, চুলকানি ও পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের পাতায় রক্ত চলাচলও ব্যাহত হয় অনেক সময়।
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। বার বার মূত্রত্যাগের বেগ আসে। পেটেব্যথা, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত করে। অনেক দিন ধরে এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার মাড়ি থেকে কি রক্তপাত হচ্ছে? তাহলে সাবধান হোন। কারণ, ডায়াবেটিসের আরও একটি লক্ষণ হলো মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া। ডায়াবেটিসের মাত্রা খুব বেশি হলেই এমন হয়। শুধু রক্তপাত নয়, মাড়ি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দেখা দিলেই এক বার ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিন। ডায়াবেটিস হলে মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে রক্ত বের হওয়া ছাড়াও প্রবল ব্যথাও হতে পারে।
মনে রাখতে হবে, যেকোনো বয়সে ডায়াবেটিস হানা দিতে পারে। তাই সতর্ক এবং সুরক্ষিত থাকা জরুরি। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে দেয়া যাবে না। তার জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপনে বদল আনার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াতেও পরিবর্তন আনা জরুরি।
এসজেড/
Leave a reply