শীতের দিনে একটু উষ্ণতার জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে। রাতে ঘুমনোর সময়ও অনেকে বিশেষভাবে নজর দেন হাত-পা গরম রাখার বিষয়ে। শীতকালে রাতে অনেকের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। বিশেষ করে পানির কাজ করার পর তা আরও বাড়ে। অনেকেরই সহজে হাত-পা গরম হতে চায় না। এ সময় অনেকেই মোজা পরে ঘুমান। কিন্তু ঘুমানোর সময় এগুলি পরে থাকা কি স্বাস্থ্যকর?
শীতে মোজা ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। অনেকের আবার অভ্যাস শীতের রাতে মোজা পরে ঘুমানোর। তবে এই অভ্যাস ঘিরে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, মোজা পরে ঘুমানো একেবারেই উচিত নয়, আবার কেউ বলেন, মোজা পরে ঘুমানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, শীতের রাতে পা গরম রাখতে এবং সুরক্ষিত রাখতে মোজা পরা ভালো। শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার এই পদ্ধতি বেশ উপকারী। গোড়ালি ফাটার সমস্যা কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী।
ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, ঘুমানোর সময় পা গরম থাকলে মস্তিষ্কে ঘুমের সংকেত দেয়। পা গরম করার সবচেয়ে সহজ উপায় কী? অবশ্যই মোজা। সারা রাত শান্তিতে ঘুমানোর জন্য, পা গরম রাখা প্রয়োজন এবং এর জন্য মোজা পরা অবশ্যই সবচেয়ে নিরাপদ এবং সেরা উপায়। গবেষণা বলছে, মোজা পরে ঘুমাতে গেলে যে কারও তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যকর নয় বলেই মনে করেন বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের ২০০৭ সালের একটি প্রতিবেদনে অনুযায়ী, নিয়মিত মোজা পরলে দ্রুত ঘুম আসে ও ভালো ঘুম আসে। রাতের বেলা একজন ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ভোর ৪টার দিকে। শরীরের গড় তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যদিও এটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
যাদের পায়ে ঘষা লাগা, চোট বা খোলা ক্ষত আছে, তাদের রাতে মোজা না পরাই ভালো। রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা যেমন ধমনী বা শিরার ব্যাধি থাকলে ঘুমানোর সময় মোজা ব্যবহার করা উচিত নয়। যারা গরম আবহাওয়ায় থাকেন তাদের মোজা পরা এড়িয়ে চলা উচিত।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/
Leave a reply