নানা আলোচনা-সমালোচনাকে গুড়িয়ে দিয়ে ভারতের লোকসভায় অনাস্থা ভোটে সহজেই উতরে গেল নরেন্দ্র মোদি সরকার। শুক্রবার গভীর রাতে হয় এ ভোটাভুটি।
ম্যারাথন ১২ ঘণ্টার বিতর্ক শেষে ভোটাভুটিতে ৩২৫ এমপি সমর্থন জানান মোদি সরকারকে। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে মাত্র ১২৬ ভোট।
এর আগে, প্রস্তাবের বিতর্ক নিয়ে দিনভর নাটকীয়তা চলে লোকসভায়। দফায়-দফায় মুলতবি হয় অধিবেশন। তেলেগু দেশম পার্টি অনাস্থা প্রস্তাব তুললেও লোকসভায় মোদি প্রশাসনকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বলেন, রাফায়েল চুক্তি নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অবশ্য রাহুলের সমালোচনার কড়া জবাব দেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণেই সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে কংগ্রেস। দিনশেষে মোদিকে রাহুলের জড়িয়ে ধরার ঘটনা নানা আলোচনার জন্ম দেয়।
টানা ১২ ঘণ্টার বিতর্ক শেষে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে অনাস্থা ভোট হয়। এর আগে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদি। সে সময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করে তোপ দাগেন তিনি।
এ নিয়ে ২৭ বার অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ল ভারত; যার মধ্যে ২২টিতে জয়লাভ করেছে সরকার। তিনটিতে সরকারের বিপক্ষে রায় যাওয়ায় সরকারের পতন ঘটে। একটিতে ভোটাভুটি হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন সরকারপ্রধান। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি)।
বুধবার লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন তা গ্রহণ করেন। শুক্রবার বিতর্ক ও ভোটাভুটির দিন ধার্য করেন তিনি। গত মার্চে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে যায় টিডিপি।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply