ফিলিপাইনে বর্তমানে বিলাসবহুল পণ্য হয়ে উঠেছে পেঁয়াজ। দেশটিতে এক কেজি পেঁয়াজের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭০০ পেসো বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৩৬০ টাকা। দেশটিতে বর্তমানে মাংসের চেয়েও পেঁয়াজের দাম বেশি। পেঁয়াজ এখন প্রায় সাধ্যের বাইরে দেশটির সাধারণ জনগণের জন্য।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, গত মাসে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির মুখে পড়ে ফিলিপাইন। এর ফলে খাদ্যপণ্য থেকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায় অসম্ভব হারে। গত ১৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি পায় প্রতিটি জিনিসের। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র দেশটিতে ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্য বৃদ্ধিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে পেঁয়াজের বাজার কিছুটা হলেও স্থিতিশীল করতে হলুদ ও লাল পেঁয়াজ আমদানির পথও উন্মুক্ত করেছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটিতে বর্তমানের এ চরম খাদ্য সংকটের পেছনে দায়ী খারাপ আবহাওয়াও। অর্থনীতিবিদ নিকোলাস মাপা বলেন, গত আগস্টেই খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দিয়েছিল ফিলিপাইনের কৃষি বিভাগ। এর কয়েক মাস পরই দুটি শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর তাতেই খাদ্য সংকটের চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি দেশটির সাধারণ মানুষ।
এদিকে, খাদ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম প্রভাব ফেলছে দেশটির রাজনীতিতেও। ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তাই দেশটির এ পরিস্থিতির কারণে তার ব্যর্থতার দিকেই আঙুল উঠছে বারবার। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি বাড়ানো হলে এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
এসজেড/
Leave a reply