সাম্বার ছন্দে শুরু হবে রিও কার্নিভাল, চলছে জোর প্রস্তুতি

|

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র তিন সপ্তাহ পরই ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুরু হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ কার্নিভাল। ঝলমলে এই আয়োজন ঘিরে প্রস্তুতি চলছে পুরো দেশেই। সাম্বাড্রোম সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। প্রশিক্ষণে ব্যস্ত নাচের দলগুলোও। তবে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে পোশাক কারিগররা। ঘুম নেই কস্টিউম ডিজাইনারদের চোখে; চলছে বাহারি পোশাক আর মুখোশ তৈরির কাজ।

রিও ডি জেনিরোর কারখানার কর্মীদের যেন দম ফেলারও ফুরসত নেই। উৎসবের আগে বাহারি পোশাক আর এর আনুষাঙ্গিক পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ শুরু হবে উৎসব। চলবে ২৫ তারিখ পর্যন্ত। তাই জোর কদমে চলছে রং-বেরঙের পোশাক ও মুখোশ তৈরি, আর বাহারি সাজসজ্জার কাজ। পোশাক ডিজাইনার সিসিলিয়া টেইসেইরা বলেন, কাজের প্রচুর চাপ। সবাই অনেক অর্ডার দিচ্ছেন। কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কার্নিভালের আগের এই সময়টা আমরা খুবই উপভোগ করি। সেই সাথে ভালো আয়ও হয়।

ছবি: সংগৃহীত

বিপুল উদ্যমে চলছে সাম্বা নাচের অনুশীলনও। সেরাদের সেরা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো। লক্ষ্য একটাই, কার্নিভাল কুইনের সম্মান অর্জন। সাম্বা স্কুল কার্নিভালের প্রযোজক ইসমার ফেরেরা বলেন, আমরা সবাই সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি কার্নিভালের জন্য। আমার সাথে যারা কাজ করে তারা প্রত্যেকেই যথেষ্ট পেশাদার। আমি শুধুমাত্র তাদের নির্দেশনা দেই। প্রত্যেকেই তাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করে।

ছবি: সংগৃহীত

রিও উৎসবে অংশ নেয় বিভিন্ন দেশের ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক। উৎসবকালীন পর্যটন খাত থেকে আয় হয় প্রায় একশো কোটি ডলার। সেই সাথে, খণ্ডকালীন আয়ের সুযোগ পায় হাজারও মানুষ। তাই করোনা মহামারীর ধাক্কা ও অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার আশায় সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: মিশরে ৪ হাজার ৩০০ বছর পর উদ্ধার হলো স্বর্ণে মোড়ানো মমি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply