নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা উচ্চ্বিত্ত- টাকা ধার নেয়া-দেয়া কম বেশি সবাই করে থাকেন। বিপদে-আপদ বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে টাকা ধার নেয়া একটা বিকল্প সমাধানই বটে। অনেকক্ষেত্রে সেটিই আবার বিড়ম্বনার কারণ হয়ে ওঠে।
অভিজ্ঞতার আলোকে ও সাধারণ বিবেচনা বোধ থেকে কিছু লোককে টাকা ধার দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন লাইফস্টাইল বিশারদরা। জেনে নেয়া যাক, কাদের কখনোই টাকা ধার দেবেন না।
মিথ্যুক ব্যক্তিকে
আপনার আশেপাশেই কিছু মানুষ পাবেন যারা ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলে। তাদেরকে ভুলেও টাকা ধার দেবেন না। যে প্রয়োজনটির কথা তিনি বলছেন বা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সেটি যে মিথ্যা নয় তা কীভাবে বুঝবেন? ক্রমাগত মিথ্যে বলে ধার শোধের বিষয়টি তারা তিক্তকর বানিয়ে ফেলতে পারেন।
যারা কথা রাখে না
যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না তাদের ধার দেবার অর্থ টাকা দিয়ে ভোগান্তি ডেকে আনা। জীবনের অন্য দিকেও কথা দিয়ে সেটা রক্ষা করতে পারেন না, টাকার ক্ষেত্রে ওয়াদা রাখবেন সেটা ভাবার ভুল করতে যাবেন না।
কৃপণ মানুষ
কিছু মানুষ আছেন চরম কৃপণ। বেড়াতে যান অন্যের টাকায়, রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে অন্য কেউ বিল দেবে বলে অপেক্ষা করেন। এরা কখনোই নিজের পকেট থেকে খরচ করেন না, তা যত টাকাই থাকুক এদের। এ ধরনের লোককে কখনও ধার দেবেন তো ধরা খাবেন।
যাদের একাধিক পাওনাদার
অনেক লোক আছে যাদের পেছনে একাধিক পাওনাদার ঘুরে বেড়ায়। এদের ধার দিলে আর ফেরত পাবেন? যদি কোনো বিপদ বা অসুস্থতার কারণে দিতেই হয়, সেটুকু টাকাই দিন যা ফিরে না পেলে আপনার কোনো অসুবিধে হবে না।
মাদকাসক্ত
মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে কখনও ধার নয়। এরা ধার করেনই নেশার জন্য। যত ঘনিষ্ঠ মানুষই হোক, এদেরকে ধার দেয়ার মানে অকাজে সহায়তা করে। লাইফস্টাইল বিশারদদের এক কথা, নেভার ডু ইট।
অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী মানুষ
অনেক মানুষ আছে যাদের উচ্চাভিলাষ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। নিজের সাধ্যের চেয়ে বেশি জাকজমক জীবন যাপন করেন তারা। টাকা ধার নিয়ে নিজেদের লাইফস্টাইল রক্ষা করতে বিন্দুমাত্র সংকোচ বোধ করেন না। অথচ, প্রয়োজনে খরচাটা একটু কমালেই হয়। ধারের চক্রে পড়ে গেলে এসব মানুষ খুব ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এদের ধার দিয়েছেন তো ফেঁসেছেন।
অতএব, আপনার উপার্জন যদি সৎ হয়ে থাকে, জেনে বুঝেই ধার দেয়া শ্রেয়!
যমুনা অনলাইন: এটি
Leave a reply