মিরপুরের ৪০০: এ রেকর্ড গর্বের নাকি লজ্জার!

|

ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে সর্বাধিক ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হলো মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। বিপিএলে বুধবার সিলেট ও খুলনার ম্যাচ দিয়ে ৪০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে মিরপুরে। বিশ্বের একমাত্র ভেন্যু হিসেবে অনন্য এ রেকর্ডের অধিকারী এখন মিরপুর। তবে, এমন রেকর্ড কি আদতে গর্বের নাকি লজ্জার?

টি-২০ তে মিরপুরের ৪০০ ম্যাচ! বিশ্বের একমাত্র ভেন্যু হিসেবে এ মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট।
টি-২০ তে এক ভেন্যুতে সর্বাধিক ম্যাচের রেকর্ডে অনেক আগে থেকেই শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের দখলে। তালিকার ২ নম্বরে থাকা দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচে সংখ্যা মাত্র ২০৮টি। ১৮৭ ম্যাচ আয়োজন করে তিনে আছে করাচি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম ১৭৫, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ১৭৪ ও মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১৭৪টি টি-২০ ম্যাচ আয়োজন করেছে।

রেকর্ড মানেই কিন্তু গৌরব নয়, অনেকক্ষেত্রে জড়িয়ে থাকে লজ্জাও। মিরপুরের এ রেকর্ডটি কী গর্বের নাকি লজ্জার? মিরপুরের পর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দুবাইয়ের সাথে ঢাকার ম্যাচের ব্যবধানটা প্রায় দ্বিগুণ। মিরপুরের এমন রেকর্ড আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলাদেশের স্টেডিয়ামগুলোর দুর্দশার কথা। সিলেট, চট্রগ্রামে গুটি কয়েক ম্যাচের দেখা মিললেও বাকি ভেন্যুগুলো থেকেও যেন নেই।

মিরপুরের উইকেট নিয়ে এমনিতেই আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। নিচু আর মন্থর উইকেটের কারণে প্রতি সিরিজে ঘুরেফিরেই সামনে আসে বিতর্ক। হোম অব ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে বিভিন্ন সময় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটাররাও। আর, এ সমালোচনার তীর সবচেয়ে বেশি যায় প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার দিকে। যদিও বেশিরভাগেরই মত, উইকেটের এমন দুরবস্থার পেছনে আসলে দায়ী, অনবরত একই ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন।

তবে, বিসিবি চাইলেই হয়তো মিরপুরের ওপর চাপ কমিয়ে অন্যান্য ভেন্যুগুলোকে কাজে লাগানো সম্ভব। আর তাতে সর্বাধিক ম্যাচের রেকর্ড না হলেও ক্রিকেটের প্রসার যে হবে তা নিয়ে সংশয় নেই।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply