তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: ৭৯ ঘণ্টা পর ২ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার

|

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে চারদিন। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আতঙ্ক আর হতাশা। কাউকে কোনো রকমে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেই আরও শক্তি পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। সময় যত গড়াচ্ছে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে। ভূমিকম্পের পর ৭৯ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল দুই বছর বয়সী এক শিশু। অবশেষে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাটি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের আন্তাকায়া শহরের। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শহরের একটি এটি। ভূমিকম্পে শহরটিতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এমনই একটি ধসে পড়া আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

তুরস্কের মানবিক ত্রাণবিষয়ক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলাসংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) একজন কর্মী ছোট্ট শিশুটিকে বের করে আনছেন। পরে শিশুটিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ ঘটনা অন্য একজন উদ্ধারকর্মী তার মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়। যদিও শিশুটি কিংবা ওই শিশুর মা-বাবার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দেশ দুটির সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে মারা গেছে ১৮ হাজারের কাছাকাছি। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজারের বেশি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর পর থেকে দফায় দফায় আরও কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে দুই দেশে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। এসব ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী ও সাধারণ মানুষ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply