ভূমিকম্পে তুরস্কের পর্যটন খাতে ব্যাপক ক্ষতি

|

ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক-সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার বছরের পুরনো সব স্থাপনা আর পুরাকীর্তি। খ্রিস্টের জন্মেরও আগে তৈরি হওয়া এসব স্থাপনাকে মনে করা হয় সভ্যতা আর কালের বিবর্তনের সাক্ষী। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্কের পর্যটন খাতের বড় একটি অংশ। খবর সিসিটিভির।

নানা ইতিহাস আর ঘটনাবলির সাক্ষী ইস্কেন্দেরুনের একটি গির্জা। ১৫২ বছরের পুরনো এই ক্যাথলিক চার্চটিকে বিবেচনা করা হতো স্থানীয় ইতিহাস আর ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক হিসেবে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে যা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

স্থানীয় বাসিন্দা জন স্যাডরোডি বলেন, এই গির্জা আমাদের জীবনের একটি অংশ ছিল। অনেক মুসলিমও ভীষণ দুঃখ পেয়েছেন। গির্জাটি ভেঙে পড়ায় তারা কান্নাকাটি করছেন। কারণ এটা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যকে ধারণ করতো।

নগর পরিকল্পনা আর অসাধারণ স্থাপত্যকলার জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় শহর ছিলো তুর্কি শহর আন্তাকিয়া। অথচ এখন এটি যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো নগরী। দেখে বোঝারই উপায় নেই এই শহর কিছুদিন আগেও মুখর ছিলো পর্যটকদের ভারে। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক এমন ঐতিহাসিক স্থাপনা। পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে অন্তত ২০টি।

তবে বিশ্ব ইতিহাস এবং সংস্কৃতির জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা আলেপ্পোর সিটাডেল। খ্রিস্টের জন্মেরও আগে তৈরি করা এই দুর্গ ভূমিকম্পের কারণে পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তুপে। একইচিত্র তুরস্কের ২ হাজার বছরের পুরনো নিমরুত দুর্গের। এগুলো সবই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply