লাগামহীন শিশু খাদ্যের দাম

|

তৌহিদ হোসেন:

টান পড়েছে শিশু খাদ্যের যোগানে। লাফিয়ে বাড়ছে দেশি-বিদেশি গুড়ো দুধের দাম। সন্তানের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। জানা গেলো, খরচ সামলাতে না পেরে অনেকে বাসায় দুধ কেনা বন্ধ করেছেন। কেউ নিচ্ছেন আগের চেয়ে ছোট প্যাকেট।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অযৌক্তিকভাবে শিশু খাদ্যের দাম বাড়াচ্ছে একাধিক কোম্পানি। কিন্তু এসবে কারও নজর নেই।

শিশুর গুড়ো দুধের দাম ছোট প্যাকেটে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। বড় মোড়কে দাম আরও চড়া। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা পেডিয়াশিওর, ন্যানের দাম এক কেজির কৌটায় বেড়েছে প্রায় হাজার টাকা। ছেড়ে কথা বলছে না অন্যান্য চকলেট, এনার্জি বা ফ্রুট ডিংক।

ব্যবসায়ীরা জানালেন, এলসি জটিলতায় শিশু খাদ্যের যোগান কমেছে। বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছে কোম্পানি।

এমন অবস্থায় শিশুদের মা-বাবাদের মাথায় হাত। একদম ছোট শিশু না হলে সন্তানদের খাদ্য তালিকা থেকে দুধ বাদ দিয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার ছোট প্যাকেট কিনে চাহিদা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের চড়া দামের দাপটে বেবি ফুডের বাজারে কেউ নজরই দিচ্ছে না। এভাবে চললে পুষ্টিহীনতায় পড়বে শিশুরা।

এদিকে, সাধারণ গুড়ো দুধের দামে খুব একটা পরিবর্তন নেই। ডিপ্লোমা, ডানো, ফ্রেশ, ড্যানিশের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে আগের দরেই। তার ওপর অফারও দিচ্ছে কেউ কেউ। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। যদিও পাড়ার খুচরা দোকানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সাধারণ গুড়ো দুধ।

বেসরকারি পরিসংখ্যানের তথ্য, গত এক বছরে গ্রামের চেয়ে শহরে শিশু খাদ্যের দর বেশি বেড়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply