নিষিদ্ধ তিন জঙ্গি সংগঠন আবারও জড়ো হচ্ছে এক ছাতার নিচে (ভিডিও)

|

নিষিদ্ধ তিন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা আবারও জড়ো হচ্ছে এক ছাতার নিচে। তাদের নতুন সদস্যরা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে গহীন পাহাড়ে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন-এর দেয়া প্রশিক্ষণে যোগ দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যুবকরা। এসব জঙ্গি তৎপরতার তথ্য-প্রমাণ এখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে। কী ভাবছেন তারা? কিভাবে দমন করা হবে উগ্রপন্হিদের?

তরুণ-যুবকদের নিয়ে গড়া নতুন সংগঠনের পেছনে আছে নিষিদ্ধ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ ও আনসার আল ইসলামের কিছু নেতা। সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। তারপর বাছাইকৃতদের সামরিক শাখায় প্রশিক্ষণ। জানা গেছে, খাবারের আর মাসে ৩ লাখ টাকা দেয়ার শর্তে প্রশিক্ষণের চুক্তি হয় পাহাড়ি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিং ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ এর সাথে।

র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জানান, কেএনএফ জঙ্গী সংগঠনটিকে পাহাড়ে আশ্রয় ও জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু, এটার টাইমফ্রেমটা ২০২৩ সালেই কেনো? এটা একটা বড় প্রশ্ন আমাদের কাছে। ২০২৪ এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন আছে। এ সুয় আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন কমিটমেন্ট আছে। যেকোনো রকমের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তারা এই সময়টাকেই টার্গেট করেছে।

র‍্যাবের দাবি, এরইমধ্যে সনাক্ত করা গেছে ৩৬ জন। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শীর্ষ এক নেতার কাছ থেকে উদ্ধার করা ভিডিও দেখে তাদের সনাক্ত করা হয়। অত্যাধুনিক অস্ত্রে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বান্দরবান-রাঙ্গামাটির গহীন জঙ্গলে।

র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান আরও জানান, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান মাশকুর ওরফে রণবীরকে আমরা নাইক্ষংছড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করি। উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং পাহাড়ে তাদের ট্রেনিংয়ের একটা ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করি।

নিজেদের টাকা, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা এবং মসজিদ-মাদ্রাসার নামে তোলা অর্থে চলতো সংগঠনের কার্যক্রম। এর বড় অংশ খরচ করা হতো অস্ত্র সংগ্রহ ও সামরিক প্রশিক্ষণে। বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি মনে করেন র‍্যাবের গোয়েন্দা প্রধান।

লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান বলেন, আঞ্চলিক যে সন্ত্রাসী সংগঠন আছে কেএনএফ তাদের সাথে এই জঙ্গী সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা। এটা আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে নতুন একটা ডাইমেনশন। এই দুইটা প্ল্যাটদর্ম যখন একই ছাদের নিচে আসছে; আমি মনে করি এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় একটা হুমকি।

প্রসঙ্গত, ভারত-মিয়ানমার ও বাংলাদেশের স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় এক বছরের বেশি কুকিচিং এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্যরা। গ্রেফতার অভিযানের পাশাপাশি নতুন সংগঠনের সাথে অন্য কারও যোগসূত্র আছে কিনা- তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply