কুমিল্লা ব্যুরো:
মহান ২১ ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে জুতো পায়েই এক প্রধান শিক্ষক উঠে পড়েন শহীদ মিনারে। এ সময় তার সঙ্গে আরও তিনজন সহকারী শিক্ষক খালি পায়ে শহীদ মিনারে উঠলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে নিয়ে। তবে ওই প্রধান শিক্ষককের দাবি, পায়ে সমস্যা থাকায় জুতো পরে শহীদ মিনারে উঠেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও তার সঙ্গে আরও তিনজন সহকারী শিক্ষকসহ শহীদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল নিয়ে যান। এ সময় অন্য শিক্ষকদের খালি পায়ে দেখা গেলেও জুতো পরেই শহীদ মিনারে উঠে পড়েন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। যদিও ওই প্রধান শিক্ষকের দাবি, পায়ে সমস্যা থাকার কারণেই জুতো পরে শহীদ মিনারে উঠেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় শহীদ মিনারে জুতো পায়ে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমাদেরও শিক্ষক তিনি। তবে জুতো পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে মর্মাহত তারা। এটিকে ভাষা শহীদের প্রতি অপমান হিসেবেই দেখছেন তারা।
এ বিষয়ে আলোচিত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন ধরেই আমি অসুস্থ। পায়ের সমস্যাজনিত কারণে জুতো খুলতে পারিনি। এজন্য জুতো পরেই শহীদ মিনারে ওঠতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে না লেখালেখির অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী ওয়াহেদ সালেহকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান জানান, একজন শিক্ষক হবেন সবার জন্য অনুকরণীয়। তিনি যদি একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে এমন কাজ করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে? এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি।
তবে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী জানান, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছি।
/এসএইচ
Leave a reply