গোলবারের প্রহরী হিসেবে ফুটবলের ‘এলিট’ ক্লাবে যাকে বছরখানেক আগেও বিবেচনা করা হতো না, সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জিতে নিয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক ২০২২’র পুরস্কার। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর পথে অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষকের রয়েছে কিংবদন্তিসুলভ পারফরমেন্স। মেসি-স্কালোনিদের সাথে প্যারিসের আলো ঝলমলে রাতের তাই পাদপ্রদীপের আলো পড়লো এমির উপরও। জানালেন, তার আদর্শ তার উদয়াস্ত পরিশ্রম করা বাবা-মা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানে পূর্ণতা পায় এমিলিয়ানো মার্টিনেজের স্বপ্নযাত্রা। আর্সেনালে বছর দশেক বদলি গোলরক্ষক হিসেবে খেলার পর অ্যাস্টন ভিলায় গিয়ে নিজ সামর্থ্যের অনুবাদ ঘটাতে সক্ষম হন এই আর্জেন্টাইন। এরপর গোলবারে বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে জাতীয় দলকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা, লা ফিনালিসিমা। এরপর আসে বিশ্বকাপ। অমরত্ব অর্জনের সেই ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এ হয় এমির শ্রেষ্ঠত্বের প্রদর্শনী। অবিশ্বাস্য কিছু সেইভের সাথে মিলে যায় বুদ্ধিদীপ্ত গেইম ম্যানশিপের। দুইটি পেনাল্টি শ্যুটআউটে এমির পারফরমেন্স যদি হয় অবিস্মরণীয়, লুসাইলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের অন্তিম মুহূর্তে কোলো মুয়ানির শট রুখে দেয়ার দৃশ্যকে বলা যাবে রীতিমতো অবিশ্বাস্য!
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের এই পার্শ্বনায়কের হাতেই উঠেছে ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। ট্রফি হাতে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, আমার পরিবার আমাকে সমর্থন দিয়েছে। অ্যাস্টন ভিলা এবং আর্জেন্টিনা দলের সবার কাছ থেকেই পেয়েছি দারুণ অনুপ্রেরণা। জাতীয় দলে খেলাই ছিল আমার আজীবনের স্বপ্ন। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে, আদর্শ কে। আমি মাকে দেখেছি, তিনি দিনে আট ঘণ্টা ভবন পরিষ্কারের কাজ করতেন। বাবাকে দেখেছি উদয়াস্ত কঠোর পরিশ্রম করতে। তারাই আমার আদর্শ।
আরও পড়ুন: ফিফার ‘বেস্ট’ ট্রফি উঠলো জাদুকর মেসির হাতে
/এম ই
Leave a reply