বাক প্রতিবন্ধী তরুণীর আত্মহত্যা, মা ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে শান্তা আক্তার নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। শান্তা বাক প্রতিবন্ধী ছিল। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো বলে দাবি এলাকাবাসীর। মা ও শান্তার সৎ বাবা মিলে তাকে শেকলবন্দি করে রাখতো বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা বাউতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮ বছর আগে শান্তার মা মাজেদা বেগমের সাথে তার বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর মাজেদা বেগম এলাকার চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি নাসিরকে বিয়ে করেন। তবে শুরু থেকেই সৎ বাবা নাসিরের সঙ্গে বাক প্রতিবন্ধী শান্তার বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই মাজেদা ও নাসির শান্তাকে ঘরে শেকলবন্দি করে রাখত বলে অভিযোগ তাদের। সেই সাথে শারীরিক ও মানসিকভাবেও তাকে নির্যাতন করা হতো বলে জানা গেছে।

শান্তার মা মাজেদা বেগম জানান, শান্তা ঘনঘন বাড়ির বাইরে চলে যেত। মঙ্গলবার সকালেও তাকে শেকলবন্দি করে রাখেন তিনি। কিছুক্ষণ পর শেকল খুলে দিলে শান্তা তার ঘরে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। এসময় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শান্তা আত্মহত্যা করে বলে জানান তিনি।

এনিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শান্তা তার মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা অনুসন্ধান চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply