চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সেতু চেয়ে মিলছে ফেরি

|

আরিফুর রহমান সবুজ:

কালুরঘাটে সেতু চেয়ে ফেরি পাচ্ছেন চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের মানুষ। আগামী ২৭ এপ্রিল এ আসনে উপনির্বাচনের আগে এটিই টক অব দ্য টাউন। আপাতত নতুন সেতু নয়, শত বছরের পুরনো জরাজীর্ণ সেতুটি সংস্কার হচ্ছে। এজন্য এটি বন্ধ রেখে ৪ মার্চ থেকে বিকল্প ফেরি সার্ভিস চালুর কথা রয়েছে।

ফেরি চলাচলের জন্য আগেই সংযোগ সড়ক হয়েছে, এখন তৈরি হচ্ছে ঘাটে নামার পথ। সব মিলিয়ে কাজ প্রায় শেষ, এখন অপেক্ষা শুধু ফেরি চলাচলের।

মূলত, শত বছরের পুরনো জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে যাত্রী পারাপারে দুর্ভোগ কমিয়ে আনা এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহনের চলাচল এড়াতে কর্ণফুলী নদীতে এই ফেরি সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

ইজারাদার নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হবে ঘাটটি। এরমধ্যেই ঘাটে আনা হয়েছে তিনটি ফেরি। দুইটি ফেরি নদীর দু’পাশ থেকে চলবে। একটি থাকবে রিজার্ভ।

ঘাটে আনা ফেরি।

সড়ক বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ইজারাদার নিয়োগ করে এই ঘাট পরিচালনা করা হবে। তবে, ইজারাদার নিয়োগ করার আগ পর্যন্ত আমাদের ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।

চলতি বছরের মধ্যেই কালুরঘাট সেতু দিয়েই কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চায় কর্তৃপক্ষ। তার আগে ফেরি চালু রেখে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে চলবে সংস্কার কাজ।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ফেরি চালু হলে ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তাতে ব্রিজ শক্তিশালী হবে। আশা করি, এ বছরে রেল চলাচল করতে পারবে।

যদিও স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি, কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ। কিন্তু তা না করে ফেরি চালু এবং জরাজীর্ণ সেতু সংস্কারের সিদ্ধান্তে সবাই কিছুটা হতাশ। তারপরও ফেরির চালু হলে পারাপারে দূর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা তাদের।

এদিকে, পুরনো কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য মার্চে দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply