সীতাকুণ্ডে আর কত বিস্ফোরণ-প্রাণহানি হলে টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের?

|

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফারণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ৭ মাসের ব্যবধানে দু’দফা বড় বিস্ফোরণ দেখলো সীতাকুণ্ড। এতে প্রাণ গেছে ৫৭ জনের। আহত আড়াই’শর বেশি। যেকোনো সময় আবার দুর্ঘটনার শঙ্কায় রীতিমতো ঘুম হারাম কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। জনবসতি থেকে শিল্প কলকারখানা সরানোর দাবি অনেক দিনের। এখন প্রশ্ন হলো, আর কতটি বিস্ফোরণ হলে সরানো হবে এসব কলকারখানা?

২০২২ সালের ৪ জুন রাতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর কাকতালীয়ভাবে ঠিক ৭ মাস পূর্ণ হওয়ার দিন ৪ মার্চ সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। দুটি প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার। সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার পুরো জনপদ যেনো একেকটি ভয়াবহতার সাক্ষী।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া সীতাকুণ্ড এখন অঘোষিত শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। অথচ মহাসড়কের দুপাশেই গ্রাম আর জনবসতি। সীতাকুণ্ডে শত শত শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠলেও তদারকির ঘাটতি অনেকটাই স্পষ্ট। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাদের ক্ষোভ-আহাজারিতেও যেন টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের।

তবে সীতাকুণ্ডে কলকারখানার আধিক্যের কারণে নিখুঁতভাবে তদারকি করা কঠিন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, সীতাকুণ্ডে প্রায় ৩০০ কলকারখানা আছে। আমরা আমাদের মতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তদারকি করা। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগতভাবে অনিয়ম করলে তা খুঁজে বের করা কঠিন।

বিএম কন্টেইনার ডিপো এবং সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরনে প্রাণ গেছে ৫৭ জনের, আহত ও দগ্ধ অন্তত ২২০ জন। তাই ভয়ে-আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। অবিলম্বে লোকালয় থেকে এসব কলকারখানা সরিয়ে নেয়া হোক এটিই দাবি তাদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply