সৌদিতে কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি: বাংলাদেশি কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে দুদক

|

সৌদি আরবে কর্মী নিয়োগে ভিসা বাণিজ্যের সঙ্গে কোনো বাংলাদেশি জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুরু হয়েছে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ। দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছেন, অপরাধের প্রমাণ পাওয়া মাত্র দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মূলত, ঘুষ ছাড়া মেলে না সৌদি ভিসা, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে খোদ সৌদি আরবের তদন্তে। দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট অভিযোগে এরইমধ্যে নিজ দেশের নাগরিকসহ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে।

এতে জানা যায়, গত বছর বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো থেকে প্রতিটি ভিসা আবেদনের জন্য ২২০ থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার ঘুষ নেয় ঢাকার সৌদি দূতাবাস। শনিবার এর সাথে জড়িত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।

সৌদি অভিযানে গ্রেফতার ১৩ জনের মধ্যে ঢাকার দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকতার পাশাপাশি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। আছেন এক ফিলিস্তিনি। অন্য আটজন বাংলাদেশি। তাদের ধরা হয় সৌদিআরব থেকে। তারাসহ বাংলাদেশে আর কেউ অনিয়মে জড়িত কিনা তা খুঁজে দেখছে দুদক।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, এ বিষয়ে দুদক যদি আরও কোনো তথ্য পায় আর দুদকের শিডিউলভুক্ত কোনো অপরাধ ঘটে এবং সত্যিকার অর্থে অপরাধ করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

দুদক কমিশনার দাবি করেন, জনশক্তি রফতানিতে দুর্নীতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply