ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমার খবরে অনেকটা স্বস্তিতে ভোক্তারা। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কী করে সম্ভব হলো এতোটা দাম কমানো?
করপোরেট কোম্পানিগুলো বলছে, কোনো সংস্থার তদারকি নয়; বরং রমজানে প্রায় ১০ লাখ কেজি চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। রেস্তোরাঁ মালিকরাও বলছেন, এ মাসে তাদের চাহিদা কমেছে প্রায় ৫ লাখ কেজি।
ব্রয়লার মুরগি পহেলা ফেব্রুয়ারিতেও কেজি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। এরপর দাম বাড়তে থাকে। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে ২৩ মার্চ, রমজানের আগের দিন বিক্রি হয় ২৭০ থেকে ২৯০ টাকায়। যা ২৮ মার্চ বিক্রি হয় কমবেশি ২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা।
পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের হিসাবে, দেশে প্রতিদিন পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা ৩৫ লাখ কেজি। এর মধ্যে বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানি থেকে আসে ৭ লাখ আর বাকি ২৮ লাখ কেজি আসে বিভিন্ন খামার থেকে। রমজানে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কমেছে প্রায় ১০ লাখ কেজি। এ সময়ে বন্ধ থাকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও রেস্তোরাঁ। স্বাভাবিক সময়ে রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন ৭ লাখ কেজির চাহিদা থাকলেও রমজানে তা নেমে আসে ২ লাখ কেজিতে। দাম কমার নেপথ্যে এ বিষয়টিও কাজ করেছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
ইউএইচ/
Leave a reply