মুরগি বাজারে অস্থিরতা চলছেই। এখনও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। এরই জেরে বাজার নজরদারিতে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের নৈতিকতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অস্থিরতা থামবে না। অভিযাগ আছে চাঁদাবাজিরও।
গাজীপুর থেকে রাজধানীতে শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে একটি পিকআপে ১৮০০ কেজি ব্রয়লার মুরগি এনেছেন ব্যবসায়ী শাহিন। ১৬৫ টাকা কেজি দরে তিনি খামার থেকে মুরগি কিনেছেন। যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচ আর লাভ রেখে পাইকারি বিক্রি করছেন ১৭৭ টাকায়।
শনিবার রাত আড়াইটায় শাহিনের কাছে থেকে কাপ্তান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা মুরগি কিনেছেন। এই মুরগিই সারাদিন বিক্রি করবেন তারা। কিন্তু ক্রেতা কিনবেন কত টাকায়? এক ব্যবসায়ী জানান, আজ দাম কিছুটা কম থাকলেও কাল বিক্রি হবে ২০০ টাকায়।
খরচ বৃদ্ধির কিছু কারণে উঠে এসেছে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য। তারা বলছেন, মুরগি বাজারে আনলেই ধাপে ধাপে দিতে হয় চাঁদা। সিন্ডিকেট তো আছেই, পুলিশের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
মুরগির দাম নজরদারিতে শনিবার গভীর রাতে কারওয়ান বাজার আর কাপ্তানবাজার পরিদর্শন করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। ব্যবসায়ীদের লিখিত রশিদে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের পরামর্শ দেন তারা। আর মুরগি ব্যবসার সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, ক্রয়মূল্য আর বিক্রয় মূল্যের রশিদ থাকলে অনিয়ম কমে যাবে। তাই সে বিষয়টি নিশ্চিতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে দাম।
এসজেড/
Leave a reply