নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যেন কোন প্রভাবই ফেলেনি রাজধানীর সড়কে। ফিরে আসছে পূর্বের বিশৃঙ্খল রূপ। সড়কে লেন না মানার রীতিতে ফিরে গেছেন চালকরা। হেলমেট পড়তে সেই পুরনো গড়িমসি। পথচারীরাও রাস্তা পার হচ্ছেন যত্রতত্র। অবশ্য আন্দোলনের পর ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়িতে অনেকেই যথাযথ কাগজপত্র সাথে রাখছেন। নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে সড়কে শৃঙ্খৃলা ফেরানো কঠিন।
বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শুরু হয় শিশু-কিশোরদের নজিরবিহীন আন্দোলন।
কি করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হয় তা একরকম হাতে-কলমেই দেখিয়ে দেয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা রাজপথ ছাড়ার পর সড়কে আবারও সেই বিশৃঙ্খলা। বাস থামছে যত্রতত্র, হেলমেট না পরেই বাইকে উঠছেন অনেকে। পথচারীরাও নিয়ম মানছেন না।
নিয়ম মেনে যান চলাচল নিশ্চিতে ট্রাফিক পুলিশ চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে রাজধানী জুড়ে আইন প্রতিপালন করছে। গত কয়েকদিনে মামলার সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহনের কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে মালিক-চালকদের ভিড় বেড়েছে বিআরটিএ কার্যালয়গুলোতে।
সড়কে নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। তাই সহসাই পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার সুযোগ কম বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আবুল কালাম। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্ব সবার।
Leave a reply