রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলছে কূটনৈতিক উদ্যোগ, নব্য নাৎসিবাদ উৎখাতের হুমকি পুতিনের

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। শান্তি প্রক্রিয়ায় চীনকে যুক্ত করতে, দেশটি সফর করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান। পোল্যান্ড সফররত ভোলদেমির জেলেনস্কির প্রত্যাশা, বরাবরই পাশে থাকবে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশীরা। এ পরিস্থিতিতে, নব্য নাৎসিবাদ উৎখাতের হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দোনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের ৪১০ সেনার মৃত্যুর কথা। খবর সিএনএনের।

রুশ নিয়ন্ত্রিত দোনবাসের দক্ষিণাঞ্চলে রূদ্রমূর্তি এখন পুতিন প্রশাসনের। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ শতাধিক ইউক্রেনীয় সেনা। শুধু তাই নয়, ধ্বংস হয়েছে ৯টি সাঁজোয়া যান, ট্যাংক, একটি ডি-থার্টি হাউইটজার। পুতিনের অভিযোগ, সাম্প্রতিক নাশকতার সাথে পশ্চিমা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত।

পুতিন বলেন, রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় বেসামরিকদের ওপর কিয়েভের নাশকতা অব্যাহত আছে। মিসাইল-গোলাবারুদ হামলার মাধ্যমে ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা। আমাদের রাজনীতিক, সামরিক কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা তাদের টার্গেট। তৃতীয় কোনো দেশ বা পশ্চিমা গোয়েন্দা বহরের সহযোগিতা ছাড়া এ অঞ্চলে স্যাবোটাজ চালানো অসম্ভব।

তবে এ পরিস্থিতিতেই, কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াচ্ছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। পোল্যান্ড সফরকালে তিনি জানালেন, ট্যাংকের পর প্রয়োজন যুদ্ধবিমান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। ইউক্রেনের সমর্থন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে, পোল্যান্ড বিশ্বের সামনে জ্বলজ্বলে উদাহরণ। পশ্চিমা জোটের কাছ থেকে ট্যাংক সরবরাহের জন্য সহায়তা করেছে তারা। যুদ্ধবিমান পেতেও বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশীরা পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এদিকে, যুদ্ধ বন্ধে নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমা জোটও। পুতিনের মন গলাতে এ পর্যায়ে চীনের দ্বারস্থ হয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান ভন দের লিঁয়।

এ প্রসঙ্গে ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরন বলেন, চীন সফরে চলমান যুদ্ধই মূল এজেন্ডা। এছাড়াও থাকবে, রাশিয়ার আগ্রাসন, গোটা বিশ্বের ঝুঁকি, ইউরোপের বর্তমান সংকট ইত্যাদি বিষয়ও। বেইজিংকে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কারণ, বিশ্বে শান্তি ও স্থিতাবস্থা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব এড়াতে পারে না, তারা।

প্রসঙ্গত, গত মাসে মস্কো সফরে যান, চীনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে শি জিনপিং দেন শান্তি প্রস্তাব। এর আগেও, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ১২ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলো চীন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply