সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই ইউক্রেনীয় সেনার শিরচ্ছেদের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে কিছুদিন আগে। ভিডিওটি করেছিল রাশিয়ার ভাড়াটে মার্সেনারি গ্রুপ ভ্যাগনারের কয়েকজন সদস্য। ওই ভিডিওতে দুই ইউক্রেনীয় সেনার শিরচ্ছেদ ও হাত কেটে হত্যা করার দৃশ্য দেখানো হয়। এ হত্যাকাণ্ডকে নৃশংসতা হিসেবে উল্লেখ করে শিরচ্ছেদকারীদের ‘হিংস্র পশু’ বলে সম্বোধন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। খবর পলিটিকোর।
বুধবার (১২ এপ্রিল) কিয়েভে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।
ভ্যাগনার গ্রুপের ওই ভিডিও সম্পর্কে জেলেনস্কি বলেন, এটাই রুশ সেনাদের আসল চেহারা। এই হিংস্র পশুরা কাউকেই মানুষ বলে মনে করে না। ইউক্রেনীয় বন্দিদের হত্যা করার এই ভিডিওগুলো বিশ্ববাসীকে দেখানো উচিৎ। এবং বিশ্ব নেতাদের উচিৎ এ ব্যাপারে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এ দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম ভিডিওটিতে দুই হাত ও মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দুজন ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ দেখানো হয়। অপর ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে, একজন সশস্ত্র ভ্যাগনার মার্সেনারি একটি ধারালো চাকু চালিয়ে আহত এক ইউক্রেনীয় বন্দিকে হত্যা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুটি ভিডিওই চলতি গ্রীষ্মের।
এর আগে, গত মাসে আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে রাশিয়া সমর্থকদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ইউক্রেনীয় বন্দি সেনাকে হত্যা করা হচ্ছে। রুশ সেনাদের বন্দুকের সামনে তাকে ‘ইউক্রেন দীর্ঘজীবী হোক’ বলতে শোনা গেছে। তারপরই তাকে গুলি করে রুশ সেনারা।
এসব ভিডিও প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, এগুলো কোনো নাটকের পর্ব না। এগুলো ইউক্রেনের বাস্তবতা। রুশ সেনারা এসবই করছে ইউক্রেনীয়দের সাথে।
এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, এসব নৃশংসতার দায়ে রাশিয়াকে জাতিসংঘ ও ইউক্রেন থেকে ‘কিক আউট’ করা উচিৎ এই মুহূর্তে। এ সময় ২০২২ সালে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হুমকিও দেন তিনি।
বরাবরই ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া কর্তৃপক্ষ। এবারও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের ব্যাপারে নিশ্চুপ মস্কো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিও বা ইউক্রেনে রুশ সেনাদের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে এখনও সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
/এসএইচ
Leave a reply