‘ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনসহ পশ্চিমা সেনারা’

|

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সেনারা। এমন তথ্য উঠে এসেছে পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথিতে। এর পাশাপাশি উঠে এসেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সমরাস্ত্র স্বল্পতার বিষয়টিও। এক মাসের মধ্যেই ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়বে বলে জানানো হয় পেন্টাগনের গোপন এসব নথিতে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই মস্কোর অভিযোগ, কিয়েভের সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়েছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সেনারা। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এবার পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথিতে উঠে এসেছে ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করা সেনাদের তথ্য।

গেল ২৩ মার্চের তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ব্রিটেনের অর্ধশত সেনাসদস্য। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ১৪ জন। এর পাশাপাশি রয়েছে ন্যাটো সদস্য ফ্রান্স-লাটভিয়া-নেদারল্যান্ডসের সেনাও। যদিও এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই সাফাই গাইছে কিয়েভ।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সেই রেজনিকোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। এই সংকটের শুরু থেকেই তারা আমাদের পাশে রয়েছে। আমরা আশা করছি, কারা এই তথ্য ফাঁসের সাথে জড়িত তা খুব শিগগিরই বের করতে পারবে ওয়াশিংটন।

নথিতে রয়েছে ইউক্রেনের সমরাস্ত্র ঘাটতির বিষয়টিও। আগামী মে মাসের মধ্যেই ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। পেন্টাগনের হিসাবে, ইউক্রেন প্রতি মাসে ৭০টি বাক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২ শতাধিক এস থ্রি হানড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এসব ব্যবস্থায় যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় তার সংখ্যাও কমে আসছে। ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার একচেটিয়া আধিপত্যের বিষয়টিও এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে কিয়েভকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনকে জরুরি এবং দীর্ঘমেয়াদী সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবো আমরা। যেকোনো মূল্যে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে পিছু হঠতে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply