যে কেনিয়াকে হারিয়ে ঐতিহাসিক আইসিসি ট্রফি জিতেছিলো বাংলাদেশ সেই কেনিয়া এখন কোথায়? কেনো তারা সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে গেলো? একটা সময় ছিল তারকায় ঠাঁসা দল। ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়ে সবাইকে চমকে দেয়া কেনিয়া এখন যে ক্রিকেট ইতিহাসে শুধুই আক্ষেপের নাম। হারাতে হয়েছে ওয়ানডে মর্যাদাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের যে গুটিকয়েক অর্জন, তার মধ্যে এখনও জ্বলজ্বল করছে ১৯৯৭ এ আইসিসি ট্রফি জয়। যে পথ ধরেই একদিন আসে টেস্ট স্ট্যাটাস। আকরাম খানদের প্রতিপক্ষ কেনিয়া দলটা তখন ছিল বেশ শক্তিশালী। কালের বিবর্তনে সে দলটাই এখন ক্রিকেট ইতিহাসের এক আক্ষেপের নাম।
স্টিভ টিকোলো, আসিফ করিম, মার্টিন সুজি, মরিস ওদুম্বে, থমাস ওদোয়োদের নিয়ে গড়া সেই দল এখন শুধুই স্মৃতির পাতায়। ১৯৯৪ সালে নিজ দেশে আয়োজিত আইসিসি ট্রফিতে রানার্সআপ হয়ে ৯৬ বিশ্বকাপে স্থান করে নিয়েছিল কেনিয়া। যেখানে তারা হারিয়েছিল ব্রায়ান লারার শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম খেলার সুযোগ পায় ১৯৯৯ সালে। যদিও বাংলাদেশের জন্য তখন কেনিয়া ছিল যমদূতের মতোই। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ওয়ানডেতে সাতবার মুখোমুখি হয় দুই দল। যার মাঝে ছ’টিতেই জিতেছিল কেনিয়া।
২০০৬ এর পরের চিত্রটা অবশ্য একেবারেই ভিন্ন। পরের সাত ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের পর আর কেনিয়ার মুখোমুখি হয়নি টাইগাররা।
২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে কেনিয়া স্থান করে নিয়েছিল সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপের বাইরে যে দলটি দু’বার হারিয়েছিলো ভারতকে! টেস্ট না খেলা দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিতে পৌছানো সেই দলটি আজ কোথায়, এ প্রশ্ন অনেকের মনেই।
মূলত, কেনিয়া ক্রিকেটের প্রসারটা সে সময় ছিলো গুটিকয়েক ক্লাব আর পরিবারের মাঝেই। সেসব পরিবারও হারিয়ে গেছে আর তার সাথে সাথে বিবর্ণ হয়েছে কেনিয়ানদের ক্রিকেট। যার দায় এড়াতে পারে না দেশটির ক্রিকেট বোর্ডও। তারা যেমন তৃণমূলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে যেমন পারেননি তেমনি নতুন স্টিভ টিকোলো, সুজি তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা ও পরবর্তী অন্ধকার অধ্যায়ের জন্য দায়ী।
আশার সব আলোটা নিভে যায় যখন ২০১৪ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের সুপার সিক্সে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারাতে হয় তাদের। আর তাতেই অসীম সম্ভাবনা জাগানো সেই কেনিয়া দলটাই যেন চলে যায় মাঠের বাইরে।
/এসএইচ
Leave a reply