শচীনের সাথে নিজের তুলনা শুনে কেবলই হাসেন কোহলি

|

ছবি: সংগৃহীত

মেহেদী রিয়ান:

একজন যদি হন আধুনিক যুগের গ্রেট ক্রিকেটার, তবে অন্যজনকে বলা যায় ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’। বলা হচ্ছে ভিরাট কোহলি ও কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের কথা। শচীনের চেয়েও প্রতিভাবান ভিরাট কোহলি- কিছু কিছু ভক্ত এমনটা ভেবে থাকতে পারেন। তবে, এমন তুলনায় নাকি কেবল হাসিই পায় কোহলির। তার মতে, শচীনের মতো কিংবদন্তির সঙ্গে তাকে তুলনা দেয়াটাই উচিত না। বরং, শচীনকে ক্রিকেটীয় শক্তির উৎস হিসেবে দেখেন কোহলি। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণ মিলে ছুঁয়েছেন একশো সেঞ্চুরির মাইলফলক। ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন লিটল মাষ্টার খ্যাত ভারতের সাবেক এই ব্যাটিং বিস্ময়। এতদিন অনেকেই ভাবতেন, এটা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকবে। তবে এখন অনেকেই মনে করেন, এই রেকর্ড ভাঙার সামর্থ্য রাখেন ভিরাট কোহলি।

সবশেষ এক দশকের পারফরমেন্সে শচীনের অনেক রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন কোহলি। সেঞ্চুরির হিসেবে ছাড়িয়ে গেছেন জ্যাক ক্যালিস, কুমার সাঙ্গাকারা ও রিকি পন্টিংয়ের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। সামনে কেবল তারই স্বদেশী শচীন। অবসরের আগে আর ২৫ সেঞ্চুরি করতে পারলেই দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেব সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি হবে কোহলির। ভারতের এই ব্যাটিং মায়েস্ত্রোর এমন পারফরমেন্সে সবাই তাকে শচীনের সাথে তুলনা করতে শুরু করেছেন।

কিন্তু শচীনকে নিজের ক্রিকেট শক্তির উৎস মনে করেন কোহলি। তিনি বলেন, আমি প্রতিবারই হাসতে থাকি। যারা এই ধরনের কথা বলেন, তাদের খেলার সম্পর্কে কোনো রকম ধারণা নেই। আমায় যখন শচীনের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তখন আমি বিব্রতবোধ করি। জানি এই সব মানুষরা পরিসংখ্যান দেখেই এই ধরনের কথা বলে। কিন্তু তারা জানে না, একজন ক্রিকেটার কীভাবে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার পথে অনুপ্রেরণার কাজ করে। আমার কাছে শচীন টেন্ডুলকার সব সময় একটা আবেগের নাম। শচীন টেন্ডুলকার একটা চলমান শক্তির উৎস।

নিজের সেরা ছন্দে থাকলে শচীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন কোহলি। এদিকে প্রায়ই পরিসংখ্যান টেনে তুলনা করা হয় কোহলি ও শচীনের মাঝে। এমন তুলনায় অবশ্য খুশি নন কোহলি। শুধু শচীন নয়, কারো সাথেই তুলনা করা উচিত নয় বলে মনে করেন এই ভারতীয় ব্যাটার। ভিরাট কোহলি বলেন, শচীন টেন্ডুলকার এবং ভিভ রিচার্ডসনের সঙ্গে কখনোই কারোর তুলনা করা উচিত নয়। তারা তাদের নিজেদের সময়কালের সেরা ক্রিকেটার। নিজেদের সময় খেলার মধ্যে একটা বিপ্লব এনেছেন তারা। সমর্থকরা তাদেরকে ভরসা ও বিশ্বাস করে। ক্রিকেটে কোনো ক্রিকেটারের উপর বিশ্বাস করা খুবই একটা বিরল ব্যাপার।

বিশ্বকাপের আগে বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলবে ভারত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। জুন মাসে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত। সেই টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য ভিরাটের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হয়েছেন সিরাজকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া গাড়িচালক

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply