উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি আর ঘন ঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে দীর্ঘদিনের বাদানুবাদের পর খানিকটা নমনীয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য দেশটির সাথে সরাসরি আলোচনায় বসার চেষ্টা চলছে। তবে এ উদ্যোগের ব্যাপারে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে একের পর হুমকি দিয়েছিলেন। তবে সপ্তাহ যেতেই পিয়ংইয়ংয়ের সাথে আলোচনার বার্তা দিল হোয়াইট হাউজ।
শনিবার চীন সফরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সরাসরি আলোচনার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে ওয়াশিংটন।
তিনি বলেন, ‘তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি আমরা। এ নিয়ে অন্ধকারে থাকার কিছু নেই। বেশ কয়েকটি মাধ্যম হয়ে উত্তর কোরিয়া সরকারের সাথে আলোচনায় বসার চেষ্টা চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনও খুব বেশিদূর এগুনো সম্ভব হয়নি। তাই সময় হলেই সব জানানো হবে।’
পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার বাকযুদ্ধ আর পাল্টাপাল্টি শক্তির লড়াই চলছে কয়েক মাস ধরেই। তবে উত্তেজনা নিরসনে আলোচনায় বসার চেষ্টা এবারই প্রথম। অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, ৬৯তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আবারও উত্তর কোরিয়ার প্রতি পরমাণু নিরস্ত্রকরণের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা। এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। জোট বেঁধেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা। এরপরও কোনো পক্ষ উস্কানিমূলক আচরণ করলে তার পাল্টা জবাব দেয়া হবে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গত মাসের শেষের দিকে পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে আরও ব্যাপক পরিসরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ব সম্প্রদায়।
/কিউএস
Leave a reply